E-Paper

ব্যাঙ্কের কাঁটা আমানত, প্রতারণা

ব্যাঙ্কিং শিল্পকে সাইবার প্রতারণা রোখা এবং আমানতের ঢিমে চাহিদার দিকে নজর দিতে এবং তা যুঝতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:০৩
দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। —প্রতীকী চিত্র।

অনুৎপাদক সম্পদ বা এনপিএ মাথা নামানো এবং ঋণ বৃদ্ধির হাত ধরে এই অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মুনাফা ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ইতিমধ্যেই অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে ব্যাঙ্কগুলির নিট মুনাফা ২৫% বেড়ে পৌঁছেছে ৮৫,৫২০ কোটি টাকায়। সেই ধারা দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় থাকার সম্ভাবনা। সেটা সত্যি হলে, ১.৫ লক্ষ কোটির মাইলফলক ছোঁয়া অসম্ভব নয়। এখনও পর্যন্ত গত অর্থবর্ষে ১.৪১ লক্ষ কোটি টাকার মুনাফাই তাদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। তবে তা সত্ত্বেও এখন ব্যাঙ্কিং শিল্পকে সাইবার প্রতারণা রোখা এবং আমানতের ঢিমে চাহিদার দিকে নজর দিতে এবং তা যুঝতে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ব্যাঙ্কিং শিল্পের তথ্য বলছে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অনুৎপাদক সম্পদ নেমেছে ঋণের ৩.১২ শতাংশে। ২০১৮ সালের মার্চেও যা ছিল ১৪.৫৮%। যা এনপিএ যুঝতে করা বিভিন্ন পদক্ষেপের ফল। তার উপরে ঝুঁকির নিরিখে মূলধনের পরিমাণও বেড়ে পৌঁছেছে ১৫.৪৩ শতাংশে। যা তাদের আর্থিক স্বাস্থ্যে উন্নতির লক্ষণ। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কে ঋণের চাহিদা বৃদ্ধির দিকে সব মহল নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার ভাইস প্রেসিডেন্ট সচিন সচদেব। যদিও তাদের আমানতে আগ্রহ ঋণের চেয়ে কম। সেই চ্যালেঞ্জ দ্রুত মোকাবিলা জরুরি বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট মহল। সেই সঙ্গে ডিজিটাল গ্রেফতারি রোখা, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুঁজে বার করার মতো পদক্ষেপও করতে হবে তাদের।


(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

bank frauds Deposit

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy