E-Paper

কমতে পারে ৪০ শতাংশ রফতানি! আমেরিকা শুল্ক বাড়ানোয় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বানতলা

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ধাক্কা খাবে পোশাক, সামুদ্রিক পণ্য (প্রধানত চিংড়ি), দামি পাথর ও গয়না, প্লাস্টিকজাত পণ্য, কার্পেট, রাসায়নিক, এঞ্জিনিয়ারিং পণ্য ইত্যাদিও।

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৫ ০৯:১৮
ভারত থেকে সব থেকে বেশি চামড়া ও চামড়ার পণ্য যায় আমেরিকায়।

ভারত থেকে সব থেকে বেশি চামড়া ও চামড়ার পণ্য যায় আমেরিকায়। —ফাইল চিত্র।

প্রমাদ গুনছে রাজ্যের বানতলা চর্মনগরী। যেখানে উৎপাদিত চামড়ার পণ্যের বিরাট বাজার আমেরিকা। কিন্তু ৫০% শুল্ক চাপার পরে তার কতটা আদৌ থাকবে, সেই চিন্তা কার্যত ঘুম কেড়েছে উৎপাদক সংস্থাগুলির।

ভারত থেকে সব থেকে বেশি চামড়া ও চামড়ার পণ্য যায় আমেরিকায়। রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়োর দাবি, তার অঙ্ক প্রায় ৮৮০০ কোটি টাকা। ইন্ডিয়ান লেদার প্রোডাক্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি জগদীশ গুলাটি বলছেন, “এর মধ্যে শুধু চামড়ার পণ্যই যায় ৪০০০ কোটি টাকার। যার ২০০০ কোটির সরবরাহকারী পূর্বাঞ্চল। এর বড় অংশ তৈরি হয় কলকাতার লাগোয়া বানতাল লেদার কমপ্লেক্সে। সেখানে ১০০টিরও বেশি চামড়াজাত পণ্য তৈরির কারখানা ছাড়াও আছে প্রায় ৪৫০টি ট্যানারি। প্রায় ৩.৫ লক্ষ কাজ করেন। সব মিলিয়ে রাজ্যে প্রায় ৩০০০ সংস্থা চর্মপণ্য তৈরিতে যুক্ত। আমেরিকার চড়া শুল্কের আঘাতে রফতানি ৩০%-৪০% কমতে পারে।’’

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ধাক্কা খাবে পোশাক, সামুদ্রিক পণ্য (প্রধানত চিংড়ি), দামি পাথর ও গয়না, প্লাস্টিকজাত পণ্য, কার্পেট, রাসায়নিক, এঞ্জিনিয়ারিং পণ্য ইত্যাদিও। ফিয়োর ডিজি-সিইও অজয় সহায় জানান, আমেরিকাই ভারতের বৃহত্তম রফতানি বাজার। গত অর্থবর্ষে রফতানির অঙ্ক ছিল ৮৭৫০ কোটি ডলার (প্রায় ৭.৬২ লক্ষ কোটি টাকা)। মোট রফতানির ১৮%। সেখানে যাওয়া ৫৫% পণ্যেই আজ ৫০% শুল্ক চাপছে। যার মূল্য ৪৮০০ কোটি ডলার (প্রায় ৪.১৮ লক্ষ কোটি টাকা)। এ বার ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, কম্বোডিয়া বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো দেশের শুল্ক কম হওয়ায় তারা পণ্য বিক্রিতে এগিয়ে যাবে। সংগঠনের পূর্বাঞ্চলের কর্তা যোগেশ গুপ্ত বলেন, “আমার আশঙ্কা, প্রথম ধাক্কাতেই ৩০% রফতানি কমে যাবে।’’

উদ্বেগজনক অবস্থার মুখে পড়বে এঞ্জিনিয়ারিং পণ্যও, দাবি ইইপিসির প্রাক্তন সভাপতি রাকেশ শাহের। কেমিক্যালস অ্যান্ড অ্যালায়েড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, রসায়নিক সামগ্রীর রফতানি কমতে পারে ১২%-১৩%। ফিয়ো-র দাবি, লোকসানের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই উৎপাদন বন্ধ করেছে তিরুপুর, নয়ডা, সুরাটের একাধিক কাপড় ও পোশাক কারখানা।

ঝাপ্টা

ভারতীয় পণ্যে আমেরিকার ২৫% পাল্টা শুল্ক বসেছে এর আগেই।

রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য আরও ২৫% শুল্ক বসছে আজ।

মঙ্গলবারই বিজ্ঞপ্তিতে ২৭ অগস্ট তা কার্যকর হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতীয় সময় অনুযায়ী আজ যা সকাল ৯টা ৩১ মিনিট।

সব মিলিয়ে ভারতের শুল্ক ৫০%।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bantala Leather Complex India-US

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy