দ্বৈরথ: তখন কথা। এখন ‘যুদ্ধ’। ট্রাম্প এবং চিনফিং। ফাইল চিত্র
বেজিংয়ের উপরে চাপ তৈরি করতে সম্প্রতি ওয়াশিংটন ২০,০০০ কোটি ডলার চিনা পণ্যের উপরে শুল্ক বাড়িয়ে ২৫% করেছে। পাল্টা জবাব দিতে চিনও সেই পথে হাঁটল। আজ থেকে আরও ৬,০০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়াল বেজিং। এ বিষয়ে অবশ্য আগেই ঘোষণা করেছিল তারা। সেই অনুযায়ী, চিনের বাজারে ঢোকা পাঁচ হাজারের বেশি মার্কিন পণ্যের উপরে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। নতুন শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫% থেকে ২৫%। পাশাপাশি শনিবার থেকেই আমেরিকা তাদের সমুদ্র বন্দরগুলিতে চিনা পণ্যের উপরে অতিরিক্ত শুল্ক সংগ্রহ শুরু করেছে। বেআইনি অভিবাসন রুখতে মেক্সিকোর উপরেও ধাপে ধাপে শুল্ক বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে সমাধান সূত্র মেলা তো দূরের কথা, চিন-আমেরিকার মধ্যে শুল্ক যুদ্ধের উত্তাপ কার্যত রোজই বাড়ছে। সমাধানের লক্ষ্যে দু’দেশের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়েছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের। চিনের বাণিজ্য দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, কথা বলার জন্য তাঁদের দরজা খোলা আছে। আর আমেরিকা যদি শুল্ক যুদ্ধই চায় তা হলে তাঁরা শেষ পর্যন্ত লড়বেন। পাশাপাশি দফতরের পক্ষ থেকে এ-ও পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত বিদেশি সংস্থা চুক্তি ভেঙেছে ও নির্ভরযোগ্য নয়, তাদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চিনের তথ্য সংক্রান্ত দফতর জানিয়েছে, চিন-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে রবিবার তারা একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy