—ফাইল চিত্র।
কত নোট ঘরে এল? নোটবন্দির পরে এই প্রশ্ন উঠলেই জবাব আসত, ‘হিসেব চলছে।’ আর নরেন্দ্র মোদীর মাপকাঠি অনুযায়ী বৃদ্ধিতে মনমোহন সিংহের জমানা তাদের টেক্কা দেওয়ার পরেও সরকারের জবাব, আলোচনা চলছে।
পরিসংখ্যান মন্ত্রকের তরফে বলা হল, ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশনের সাব-কমিটির রিপোর্টটি সাইটে দেওয়া হয়েছে আলোচনার জন্য। যাতে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। কিন্তু সেটি সরকারি হিসেব নয়। কোন পদ্ধতিতে হিসেব হবে, তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবে মন্ত্রক। সেই কাজ চলছে।
তবে রবিবার বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে আরও কোণঠাসা করতে আসরে নামেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পরে ইউপিএ-র দশকেই বৃদ্ধি সব চেয়ে বেশি হয়েছে। ১৪ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠেছেন। কিন্তু সেই ঊর্ধ্বমুখী অর্থনীতি পেয়েও বর্তমান মোদী সরকার টালামাটাল। কারণ নোটবন্দি, জিএসটির ব্যর্থ রূপায়ণ, কর সন্ত্রাস।’’
অস্বস্তি ঢাকতে রবিবার লম্বা ব্লগ লিখেছেন মন্ত্রী অরুণ জেটলি। যেখানে মনমোহন জমানার বৃদ্ধিকে ‘সাজানো’ অ্যাখ্যা দেন তিনি। নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ রাজীব কুমারও শনিবার বলেছিলেন বৃদ্ধির হিসেবটি সরকারি নয়। তবে চিদম্বরমের দাবি, ‘‘অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা রাজনৈতিক বিতর্কে না জড়ালেই ভাল।’’ জেটলির যদিও যুক্তি, বাজপেয়ী জমানায় বৃদ্ধি ৮% ছাড়িয়েছিল। ইউপিএ-র প্রথম জমানা তার সুফল পেলেও রাজকোষ ও চলতি খাতে ঘাটতির সঙ্গে আপস করেছে। মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে নিয়ন্ত্রণহীন। লাগামছাড়া ঋণ দিয়ে বিপাকে পড়েছে দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy