E-Paper

কর্মসংস্থান ছয় শতাধিক! তথ্যপ্রযুক্তিতে রাজ্যে লগ্নির সিদ্ধান্ত দুই ব্রিটিশ সংস্থার

বাবুল এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘রাজ্য গত ক’বছরে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যা যা কাজ করেছে, সেগুলি সোমবার ঘুরে দেখেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:১৩
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

লগ্নির ঝুলি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পা রাখতে চলেছে দুই ব্রিটিশ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। সোমবার রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে
এই কথা জানালেন কলকাতায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার অ্যান্ড্রু ফ্লেমিং।

ব্রিটেন থেকে ১৭ জনের যে প্রতিনিধি দল সোম ও মঙ্গলবার রাজ্য সফরে এসেছে, লগ্নিতে আগ্রহী সংস্থা দু’টির কর্তারাও রয়েছেন তাতে। ফ্লেমিং জানান, রেডক এবং প্রেফারি নামের ওই দুই সংস্থা কলকাতায় লগ্নির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে প্রত্যক্ষ ভাবে ৬০০-র বেশি কর্মসংস্থান হবে। তবে কত টাকা লগ্নি করা হবে তা নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। মূলত, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের নিরাপত্তা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষেত্রে কাজ করে তারা।

বাবুল এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘রাজ্য গত ক’বছরে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যা যা কাজ করেছে, সেগুলি সোমবার ঘুরে দেখেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। তাঁদের অনেকেই এখানে লগ্নিতে আগ্রহী। এর মধ্যে যে সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করবে বলে ঠিক করেছে, তাদের সমস্ত রকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি দফতর।’’ মন্ত্রী জানান, প্রতিনিধি দলটি সোমবার সিলিকন ভ্যালি, ব্রিটিশ টেলিকম এবং টিসিএসের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছে। এ দিনের বৈঠককে ইতিবাচক বলেই আখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রী।

প্রতিনিধি দলের সদস্য তথা বিনিয়োগে ইচ্ছুক রেডকের প্রতিনিধি সূর্যপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, “জানুয়ারি থেকে আমাদের কলকাতার দফতর চালু করছি। আগামী বছর জুনের মধ্যে ৫৬০-৫৮০ জন কর্মী নিয়োগ করে ফেলব। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের নিরাপত্তার পাশাপাশি কৃত্রিম মেধা নিয়েও কাজ করি।’’ আর এক সংস্থা প্রেফারির জিএম সৌরভ সেনগুপ্ত বলেন, “আমরা জানুয়ারি থেকে কলকাতার দফতর চালু করছি। ৪০-৪৫ জন কর্মী নিয়ে এই দফতর চালু করা হয়েছে। পরবর্তী কালে সংখ্যাটা আরও বাড়বে।”

প্রসঙ্গত, প্রতিনিধি দলে ইংল্যান্ডের ১৭টি প্রথম সারির সেমিকনডাক্টর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষেত্রে কাজ করে, এমন সংস্থার প্রতিনিধিরা রয়েছেন। ফ্লেমিং জানান, এ রাজ্যে লগ্নি করার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এগুলি হল— দক্ষ কর্মী পাওয়ার সুবিধা, তুলনায় কম খরচ এবং কর্মীদের মধ্যে চাকরি ছাড়ার প্রবণতা কম থাকা। প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা এই বিষয়গুলির উপর আলাদা করে গুরুত্ব দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সোমবার পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশার তথ্যপ্রযুক্তি সচিব ও দফতরের কর্তাদের সঙ্গে এক দফা বৈঠক করেছে দলটি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Investment

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy