শিল্পোৎপাদনের হাল ফেরা, মূল্যবৃদ্ধি কমা এবং আপাতত স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত, এই তিনের প্রভাবে বাড়ল শেয়ার বাজার। সোমবার সেনসেক্স এক লাফে উঠল ১৬১.২৫ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক থিতু হল ২৬,৫৮৬.৫৫ অঙ্কে। এ নিয়ে টানা দু’দিন বাড়ল সূচক। নিফটিও ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ফিরে গিয়েছে ৮ হাজারের ঘরে।
এ দিন ডলারে টাকার দাম ১০ পয়সা পড়ায় দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৪.১৬ টাকা।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের ঘটনাও চিন্তায় রেখেছে বাজার বিশেষজ্ঞদের। বিশেষ করে গ্রিসের আর্থিক সমস্যা নিয়েই তাঁরা উদ্বিগ্ন। গ্রিসের পক্ষে ঋণের টাকা পরিশোধে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা ফের প্রকট হয়েছে। এর বিরূপ প্রভাব এই দিন পড়েছে ইউরোপ-সহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের শেয়ার বাজারের উপর।
এ দিন লেনদেনের পুরো সময়টা জুড়েই দ্রুত ওঠা-নামা করে সূচক। শুরুতে সেনসেক্স নেমে যায় ২৬,৩০৭.৮৪ অঙ্কে। কিন্তু পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার হিড়িকে এক সময়ে তা ৪২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এই সময়েই মুনাফার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য লগ্নিকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে থাকেন। সেই কারণে ১৬১ পয়েন্ট বৃদ্ধি নিয়েই ঝাঁপ বন্ধ হয় বাজারের।
তবে শিল্পোৎপাদন বাড়া এবং মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় শেয়ার বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। তাঁদের মতে, যে-সব ঘটনা শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা হতে সাহায্য করে থাকে, এগুলি তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্ষা ভাল না-হলে ইতিবাচক প্রভাব বদলে গিয়ে নেতিবাচক হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু আপাতত বৃষ্টি স্বাভাবিকের থেকে বেশি হওয়ার আশায় লগ্নিকারীরা।
এ দিকে সংস্কার কর্মসূচি রূপায়ণেকথা না-দিলে গ্রিসকে আর্থিক ত্রাণ বাবদ ঋণের বাকি অর্থ দেবে না আইএমএফ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাদবাকি দেশগুলি। এই অর্থ ৭২০ কোটি ইউরো। অথচ পেনশন কমিয়ে ও কর বাড়িয়ে সংস্কারের পথে এগোতে নারাজ গ্রিস। এই পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি অবস্থার জন্য তৈরি হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy