ফাইল চিত্র।
সেনসেক্স ২৭০২ পয়েন্ট নেমেছিল বৃহস্পতিবার। শুক্রবার কিছুটা সামলে নিল। টানা সাত দিন পড়ার পরে উঠল ১৩২৮.৬১। থামল ৫৫,৮৫৮.৫২ অঙ্কে। লগ্নিকারীরা ফিরে পেলেন ৭.৭২ লক্ষ কোটি টাকা। নিফ্টিও ৪১০.২৫ উঠে হল ১৬,৬৫৮.৪০। তবু দুশ্চিন্তা গেল না। বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অশোধিত তেলের দর, দেশে জ্বালানির ধাক্কা, চড়া মূল্যবৃদ্ধি— সবই ঝুঁকির পাল্লা ভারী রাখছে। অস্থিরতা কাটার প্রশ্ন নেই।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বিভিন্ন দেশে সূচকের উত্থান ও দেশে পড়তি দামে শেয়ার কেনার হিড়িক বাজারকে ঠেলে তুলেছে। তবে জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের বিনোদ নায়ার বলছেন, সব থেকে বড় স্বস্তি রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা বসানোর ক্ষেত্রে আমেরিকা তাদের তেল রফতানিকে ছাড় দিয়েছে এবং বিশ্ব বাজারে ‘সুইফট’ মারফত এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থায় দেশটির নাম কাটেনি। ফলে অশোধিত তেলের ব্যারেল ৯৭.৪১ ডলারে নেমেছে। তবে বিনোদের ধারণা, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পরিস্থিতিতে চোখ রেখে ওঠানামা চলবে। তেলের দাম এবং মূল্যবৃদ্ধির চাপও থাকবে।
বিশেষজ্ঞ অজিত দে-র মতে, “পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার হিড়িক ছিল। তবে সূচকের ওঠানামা চলছে বিশ্ব বাজারের দিকে তাকিয়ে। মূলত আমেরিকার বাজার ওঠারই প্রভাব পড়েছে। এখন ফাটকাবাজদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।’’ অর্থনীতি নয়, যুদ্ধের গতির উপরেই নির্ভর করবে সূচক, মন্তব্য ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখেরও। তবে তাঁর দাবি, “দেশের বাজারে নগদের অভাব নেই। এসআইপি মারফত পাওয়া বিপুল টাকা শেয়ার বা ঋণপত্রে লগ্নি করছে মিউচুয়াল ফান্ডগুলি। তাই বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির টানা শেয়ার বিক্রি, চড়া তেল, মূল্যবৃদ্ধি, এমনকি যুদ্ধের মতো ঘটনায় পড়লেও মূলত ফান্ডের লগ্নির সুবাদে চটজলদি সূচক ঘুরেও দাঁড়াচ্ছে।’’ এ দিনও বিদেশি লগ্নিকারীরা বেচেছে ৪৪৭০.৭০ কোটি টাকার শেয়ার, দেশীয় সংস্থাগুলি কিনেছে ৪৩১৮.২৪ কোটির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy