ব্রডব্যান্ড পরিষেবার মান ও তার বাড়তে থাকা খরচ নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহক মহল। বিলের অঙ্ক দেখে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ। ফলে তাঁরা দুষছেন সংশ্লিষ্ট পরিষেবা সংস্থাকে। পাশাপাশি, সুরক্ষার প্রশ্নে গ্রাহকরা যথেষ্ট সচেতন নন বলে অভিযোগ টেলি পরিষেবা সংস্থাগুলির।
এই চাপান-উতোরের মধ্যেই বিএসএনএলের দাবি, অসতর্কতার জন্যই ঠিক মতো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন না গ্রাহকদের একাংশ। ফলে উন্মুক্ত থেকে যাচ্ছে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। হয়তো তাঁদের অজান্তেই কেউ সেই পরিষেবা ব্যবহার করছে। ফলে বিল বাড়ছে। পরিষেবার মান নিয়ে অভিযোগ মেনে নিয়েই গ্রাহকদের উপর এই দায় চাপিয়েছে সংস্থা। গ্রাহকদের অবশ্য পাল্টা দাবি, সুরক্ষার নিয়ম মেনে নেট ব্যবহার নিয়ে তাঁরা সচেতন। তা সত্ত্বেও খরচ লাফিয়ে বাড়ছে!
ব্রডব্যান্ডে দু’ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। তারযুক্ত ব্যবস্থা ‘মোডেম’ থেকে সরাসরি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে তা যুক্ত করে, অথবা মোডেম ও রাউটার দিয়ে তারবিহীন ‘ওয়াই-ফাই’ পরিষেবা মারফত। তখন একাধিক কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ওই ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে পারে।
গ্রাহকের বাড়ি পর্যন্ত, অর্থাৎ, তাঁর ‘মোডেম’ অবধি তারের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছয়। এই পরিষেবা ব্যবহারের জন্য ‘লগ-ইন’ করতে একটি ‘আইডি’ ও পাসওয়ার্ড’ দেয় সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এ বার সেখান থেকে তারের মাধ্যমেই কম্পিউটারে বা তারবিহীন (ওয়াই-ফাই) পরিষেবা নিতে পারেন গ্রাহক। সাধারণত বাড়তি বিলের সমস্যা হয় ওয়াই-ফাই ব্যবস্থায়। বিএসএনএল ও টেলিকম বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই পরিষেবায় বাড়তি সুরক্ষা না-থাকলে অন্য কেউ তার সুযোগ নিতে পারে।
যেমন, ব্রডব্যান্ডের প্রথম পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি ওয়াই-ফাইয়ের জন্যও আলাদা পাসওয়ার্ড জরুরি। তা থাকলে ব্রডব্যান্ড পরিষেবায় লগ-ইন করলেও ওয়াই-ফাই চালু করতে সেটির প্রয়োজন হবে। বিএসএনএল-এর দাবি, সংযোগ দেওয়ার সময়ে তাদের কর্মীরা এ কথা বললেও অনেকেই তা শোনেন না। কারণ এই পাসওয়ার্ড না-থাকলে তিনি সরাসরি তারযুক্ত ব্যবস্থার মতোই ওয়াই-ফাই পরিষেবাতেও নেট ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এতে ওয়াই-ফাই পরিষেবা উন্মুক্তই থেকে যায়। সেই মোডেম ও রাউটার-এর আওতায় এলে যে-কেউ তাঁর ফোন বা ল্যাপটপে ওয়াই-ফাই চালু করতে পারেন।
যদিও গ্রাহকদের পাল্টা অভিযোগ, বিএসএনএল-কর্মীরা এ সব বলেন না। টেলিকম বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, পাসওয়ার্ড গ্রাহককেই তৈরি করতে হবে। কারণ গোপনে সেটি কেউ ব্যবহার করলে তার দায় গ্রাহকের উপরেই বর্তায়।
টেলিকম দফতরের এক প্রাক্তন আধিকারিক জানান, ব্রডব্যান্ড সংযোগের সময়েই সেটি যে-সব কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে, সেগুলির ‘ম্যাক আইডি’ সেখানে যুক্ত করতে হবে। তা হলে অন্য কোনও যন্ত্র এই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy