Advertisement
E-Paper

বিল পেতে দেরির জেরে ভোগান্তি

সমস্যার কথা মানছেন পশ্চিমবঙ্গে বিএসএনএলের দুই শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্স ও বিএসএনএল (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল)-এর কর্তারা। তবে তাঁদের দাবি, এটি সাময়িক ঘটনা।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৫৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বিএসএনএলের উত্তর শহরতলির এক গ্রাহক তাঁর অগস্টের ল্যান্ডলাইন ফোনের বিল যখন সেপ্টেম্বর শেষে হাতে পেলেন, তখন টাকা জমার শেষ তারিখ পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে পরে সেই টাকা জমা দেওয়ায় জরিমানা গুনতে হবে তাঁকে। তাঁর মতো অনেক বিএসএনএল গ্রাহকেরই অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই এমন হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের।

সমস্যার কথা মানছেন পশ্চিমবঙ্গে বিএসএনএলের দুই শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্স ও বিএসএনএল (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল)-এর কর্তারা। তবে তাঁদের দাবি, এটি সাময়িক ঘটনা। তবুও সময়ের মধ্যে গ্রাহকের কাছে ফোনের বিল পৌঁছে দিতে নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে।

বিএসএনএল ল্যান্ড ফোনের পরিষেবার মান এমনিতেই পড়তির দিকে বলে অভিযোগ। ক্রমশ কমছে গ্রাহকের সংখ্যা। এর উপর বিল পেতে দেরি হওয়ার মাসুল তাঁদেরই গুনতে হওয়ায় ক্ষুব্ধ অনেকে। প্রথা অনুযায়ী, বিল তৈরির পরে বিএসএনএল তা পাঠায় ডাক বিভাগের কাছে। তা
ছাপিয়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তাদের। ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের সিপিএমজি অরুন্ধতী ঘোষের দাবি, তাঁরা এই বিলগুলি বণ্টনে অগ্রাধিকার দেন। কিন্তু অনেক সময়ে বিএসএনএলের কাছ থেকে তথ্য পেতেই দেরি হয়। তার পর বিল ছাপাতে সময় লাগে।

ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম এস পি ত্রিপাঠী ও বিএসএনএলের (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেল) পিজিএম রবীন্দ্রনাথ পাল মঙ্গলবার জানান, জিএসটির জেরে অগস্টের বিল তৈরি করতে বাড়তি সময় লেগেছে। এ ছাড়া বিলের তথ্য জোগাড়েও কখনও সময় লাগে। তা যাতে সময়ের মধ্যেই করা যায় সে জন্য নজরদারি জোরদার করছেন তাঁরা। ত্রিপাঠী এ দিন বলেন, ‘‘আর একজন অফিসারকে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে। চেষ্টা করছি প্রতি মাসের বিল গ্রাহকের কাছে পরের মাসের ১৫-১৬ তারিখের মধ্যে পৌঁছে দিতে, যাতে বিল জমা দেওয়ার জন্য তিনি বাড়তি সময় পান।’’

BSNL Telephone bill বিএসএনএল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy