আর্জি: ভোগান্তি মিটুক কর জমায়। নয়াদিল্লিতে চলছে পুজো। —নিজস্ব চিত্র।
বৈদিক মন্ত্র, ফুল-মালা, আরতি— সকাল থেকেই চলছে দীপাবলির পুজো। কপালে পরানো হল তিলকও। তবে কম্পিউটারে জিএসটি পোর্টালে। প্রার্থনা, পোর্টাল যেন ঠিক মতো কাজ করে, ব্যবসায়ীদের চিন্তা দূর হয়।
রাজধানী দিল্লিতে এ ধরনের অভিনব আয়োজন কোনও বিরোধী দলের হলে তাতে হয়তো তেমন চমক থাকত না। কিন্তু জিএসটি পোর্টালের পুজোর আয়োজন করেছে বিজেপিরই সমর্থক ব্যবসায়ীদের সংগঠন। সব বিরোধীরা যখন রয়ে-সয়ে জিএসটি চালুর কথা বলছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তড়িঘড়িই তা চালু করেন। বিরোধী ও ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, তারপর থেকে ঠোক্কর খেতে হচ্ছে। জিএসটি ও রিটার্ন জমা নিতেই কর ব্যবস্থার পোর্টালটি মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রথমে নোট বাতিল, তারপর জিএসটির কোপে দীবাপলির বাজারেও এ বার মন্দা। সব মিলিয়েই সুরাহা খুঁজতে তাই পোর্টাল-পুজো করলেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন সিএআইটির সচিব প্রবীণ খান্ডেল-ওয়াল বলেন, ‘‘দীপাবলিতে পুজোর মাহাত্ম্য রয়েছে। জিএসটির হাজারো ঝকমারির শেষ নেই, তার উপর নগদ না-থাকায় উৎসবের বাজারও মন্দা। শব্দবাজিতে সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞায় ব্যবসা আরও মার খেয়েছে। অগত্যা পোর্টালের পুজো করা ছাড়া আর কোনও গতি নেই!’’
গত বছরের থেকে এ বারে গোটা দেশেই উৎসবের মরসুমে বিক্রি কমেছে ২০-৩০%। বছরে ৪০ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়, তার মধ্যে নবরাত্রি-দীপাবলির সময়েই ১০ শতাংশের বেশি ব্যবসা হয়। এ বারে সেটিও ধাক্কা খেল। ব্যবসায়ীরা চাইছেন, অন্তত সামনের বছর যেন এই পরিস্থিতি না-থাকে।
ইতিমধ্যে জিএসটি-র বিভ্রাট নিয়ে প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। ভোটের মুখে গুজরাতেও ব্যবসায়ীদের উদ্বেগকে পুঁজি করছেন তাঁরা। তাই মোদী, অমিত শাহকেও লাগাতার আক্রমণ সামলাতে হচ্ছে। বলতে হচ্ছে, জিএসটি চালুর পিছনে একা বিজেপি নয়, ইউপিএ সরকারেরও ভূমিকা আছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, জিএসটি সমর্থন করলেও তড়িঘড়ি তা চালুর বিপক্ষে তাঁরা। সব মিলিয়ে জিএসটি জট কাটাতে ব্যবসায়ীরা দীপাবলিতে মন দিলেন প্রার্থনায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy