E-Paper

অতিরিক্ত খয়রাতিতে বেড়েই চলেছে ঋণ, রাজ্যগুলিকে ফের সতর্ক করল ক্যাগ

রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অমান্য করে রাজ্যগুলির স্বাধীনতা খর্ব করেছে মোদী সরকার। এক দিকে তাদের আয়ের রাস্তা কমেছে, অন্য দিকে ঋণ বৃদ্ধির জেরে ‘সাঁড়াশি আক্রমণের’ মুখে পড়েছে তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:১২
আটটি রাজ্যে ঋণ তাদের অভ্যন্তরীণ আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি।

আটটি রাজ্যে ঋণ তাদের অভ্যন্তরীণ আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি। —প্রতীকী চিত্র।

রাজ্যগুলির মাত্রাছাড়া ‘দানখয়রাতি’ এবং সে জন্য তাদের ঋণের বোঝা বৃদ্ধি নিয়ে এর আগে সতর্কবার্তা শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। শুক্রবার সেই একই ছবি উঠে এসেছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারালের (সিএজি) রিপোর্টে। যা জানাচ্ছে, দেশে ২৮টি রাজ্যের মোট ঋণের অঙ্ক ২০১৩-১৪ সালের ১৭.৫৭ লক্ষ কোটি টাকা থেকে ২০২২-২৩ সালে বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ৫৯.৬ লক্ষ কোটিতে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে তৃতীয় স্থানে। রাজ্য জিডিপি-র সাপেক্ষে এখানে ঋণের পরিমাণ পৌঁছে গিয়েছে ৩৩.৭ শতাংশে। পঞ্জাব (৪০.৩৫%) এবং নাগাল্যান্ডের (৩৭.১৫%) পরেই। এই ঋণ বৃদ্ধি নিয়েই শনিবার কেন্দ্রকে তোপ দাগল কংগ্রেস। বিরোধী দলটির মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অমান্য করে রাজ্যগুলির স্বাধীনতা খর্ব করেছে মোদী সরকার। এক দিকে তাদের আয়ের রাস্তা কমেছে, অন্য দিকে ঋণ বৃদ্ধির জেরে ‘সাঁড়াশি আক্রমণের’ মুখে পড়েছে তারা।

সম্প্রতি জিএসটি-র হার দু’টিতে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট পরিষদ। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন-সহ মোদী সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা দাবি করছেন, সমস্ত রাজ্যই এ জন্য একমত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণের জন্য আনা সেস তুলে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত। সূরজেওয়ালার দাবি, একে তো এক দশকে রাজ্যগুলির ঋণ ‘তিনগুণ’ হয়েছে। এ বার সেস এবং লেভি নিয়ে কেন্দ্রের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তে আয়ের পথও খর্ব হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ঝুঁকির মুখে। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ প্রশ্নের মুখে। আর যা আমরা দেখছি, তাতে স্পষ্ট এটা রাজ্যগুলিকে শেষ করার প্রচেষ্টা।’’

এই প্রসঙ্গেই সিএজি-র রিপোর্টের কথা তুলে ধরেছেন কংগ্রেস নেতা। সেই রিপোর্ট বলে দিচ্ছে, আটটি রাজ্যে ঋণ তাদের অভ্যন্তরীণ আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি। ১৪টির ক্ষেত্রে তা ২০-৩০ শতাংশের মধ্যে এবং মাত্র ছ’টি রাজ্য ঋণ জিডিপি-র ২০ শতাংশের কম। সব রাজ্য মিলিয়ে তা প্রায় ২৩%। বিশেষত করোনার সময় থেকে রাজ্যগুলির ঋণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এ দিকে সেস এবং সারচার্জ হিসেবে কেন্দ্রের ঘরে প্রতি বছর ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা ঢুকলেও, তার কিছুই রাজ্যগুলি পায় না। অথচ জিএসটি-তে তা থাকলে সমস্ত রাজ্য সেই করের ভাগ পেত। আগে কথা হয়েছিল জিএসটি ক্ষতিপূরণ সেস উঠলে লেভি বসিয়ে তার ভাগ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হবে। এখন সেটাও হচ্ছে না। ফলে রাজ্যগুলি রাজস্ব হারাচ্ছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকেই ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টা বলে অভিযোগ করে সূরজেওয়ালা বলেন, এর মাধ্যমে রাজ্যগুলিকে মিউনিসিপ্যালিটিতে পরিণত করছে মোদী সরকার।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Loan CAG

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy