পেনশন নিয়ে আন্দোলনে নেমে আগামী ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর দেশ জুড়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্মী-অফিসারদের ছুটি (ক্যাজুয়াল লিভ) নেওয়ার ডাক দিলেন তাঁদের যৌথ ফোরাম। আন্দোলনের কারণ দু’টি। এক, পেনশনের হার সংশোধন। দুই, ২০১২ সালের আগে যাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন অথচ পেনশন প্রকল্পে আসেননি, তাঁদের এর আওতায় আসার সুযোগ দেওয়া।
সব কর্মী-অফিসারেরা ছুটি নিলে ওই দু’দিন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কার্যত ধর্মঘটের চেহারা নেবে বলে দাবি ফোরামের। এর আহ্বায়ক সমীর ঘোষ জানান, ‘‘দু’দিনই বন্ধ থাকবে আরটিজিএস, এনইএফটি-র মতো টাকা পাঠানো এবং চেক ক্লিয়ারিংয়ের প্রক্রিয়াগুলি।’’ যে কারণে সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, কর্মসূচিটি কার্যকর হলে ৪ ও ৫ তারিখ সারা দেশেই ধাক্কা খেতে পারে বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন। ব্যাহত হতে পারে শেয়ার বাজার ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক লেনদেনে টাকা মেটানোর প্রক্রিয়া।
সমীরবাবু জানান, তাঁদের দাবি দু’টি মানতে রাজি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন দুই গভর্নর ডি সুব্বারাও, রঘুরাম রাজন, এমনকী বর্তমান উর্জিত পটেল পর্যন্ত এগুলি পূরণের অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু প্রতিবারই সরকার তা নাকচ করেছে। যুক্তি দিয়েছে, শীর্ষ ব্যাঙ্কের কর্মী-অফিসারদের এই দাবি মেনে নিলে, দেশের অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেও একই দাবি উঠবে। সমীরবাবু বলেন, কেন্দ্র এ ভাবে বেঁকে বসায় তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। বিশেষত এ জন্য প্রয়োজনীয় খরচের টাকা যেখানে কেন্দ্রকে দিতেও হবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিজস্ব পেনশন তহবিল থেকেই মেটানো যাবে।
ইউনিয়নের অভিযোগ, ‘‘পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী যখন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন সংশোধন হয়, তখনই ৫৫ লক্ষ পেনশভোগীর পেনশনের হারও সংশোধিত হয়। অথচ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২১ হাজার পেনশনভোগীর ক্ষেত্রে বাদ সাধছে কেন্দ্র।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy