প্রতীকী ছবি
আর্থিক বৃদ্ধির হার-সহ বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি করছে মোদী সরকার। সাদা চোখে অঙ্কের সেই হিসেব স্বস্তির মনে হলেও আসলে প্রদীপের নীচেই যে এখনও আঁধার, সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশে শো-রুম থেকে গাড়ি বিক্রির খতিয়ান। একে তো আর্থিক বৃদ্ধি থেকে কল-কারখানা বা পরিকাঠামোয় উৎপাদন, সবই আগের বছরের তলানি ছোঁয়া হিসেবে নিরিখে উঁচু। তার উপরে ডিলারদের সংগঠন ফাডার হিসেব, জুলাইয়ের থেকে যাত্রিবাহী, দু’চাকা, ট্রাক্টরের বিক্রি কমেছে অগস্টে। আর চাহিদা নিয়ে সেই সংশয়ের মধ্যেই চেপে বসেছে সেমিকন্ডাক্টরের মতো গাড়ির যন্ত্রাংশের জোগানের ঘাটতি। যার জেরে উৎসবের মরসুমেও বিশেষত যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি নিষ্প্রভ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা ফাডা-র। আর্থিক সঙ্কটে দু’চাকার গাড়ির চাহিদা সঙ্কুচিত হতে পারে বলেও মনে করছে তারা।
ফাডার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অগস্টের তুলনায় এ বার অগস্টে সব গাড়ির বিক্রিই বেড়েছে। কিন্তু ২০১৯ সালের অগস্টের সঙ্গে তুলনায় দুই ও তিন চাকা এবং বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি কমেছে যথাক্রমে ২২.৬%, ৪৫% ও ১৪.৭%। যাত্রিবাহী এবং ট্রাক্টরের বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ৩১.৬% ও ৩৬%। এ পর্যন্ত ছবিটা হয়তো কিছুটা সন্তোষজনক। কিন্তু যাবতীয় আশায় জল ঢালছে জুলাইয়ের তুলনায় যাত্রী গাড়ির বিক্রি কমে যাওয়া, প্রায় ৮০০০। আর দু’চাকার বিক্রি ১.৫ লক্ষেরও বেশি কম। তিন চাকা মাত্র হাজার তিনেক এবং বাণিজ্যিক গাড়ি হাজার খানেক বেড়েছে।
ফাডা-র ইঙ্গিত, এক দিকে যন্ত্রাংশের অভাবে গাড়ি তৈরি ব্যাহত হচ্ছে। অন্য দিকে স্বস্তি কাড়ছে আর্থিক সঙ্কট। বহু মানুষের ইচ্ছে থাকলেও এখন গাড়ি কিনতে খরচ করার ক্ষমতা নেই। অনেকে সাহস পাচ্ছেন না। কারণ তেলের দাম চড়া, বেড়েছে গাড়ির দামও। বরং ওই টাকা জমানোয় মন দিচ্ছেন তাঁরা। যে কারণে দু’চাকা বা কম দামি যাত্রিবাহী গাড়ির চাহিদাও ধাক্কা খাচ্ছে। উৎসবে সাধারণত বিক্রি বাড়ে। কিন্তু সেই ভরসা আদৌ কতটা, সে ব্যাপারে সংশয়ী তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy