বাজেটে মধ্যবিত্তের জন্য বিপুল করছাড়ের প্রস্তাব করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শুধু বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর শূন্যে নামিয়ে আনাই নয়, সুবিধা দিয়েছেন আয়করের প্রতিটি স্তরে। এই গোটা পরিবর্তনটিই হয়েছে নতুন কর ব্যবস্থায়। ফলে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের (সিবিডিটি) চেয়ারম্যান রবি আগরওয়ালের ধারণা, দেশের ৯০ শতাংশের বেশি আয়করদাতাই এই ব্যবস্থার অধীনে চলে আসবেন। এখন রয়েছেন প্রায় ৭৫%।
সিবিডিটি প্রধান জানান, এখন রিটার্ন দাখিলের ফর্মগুলি জটিল নয়। তার উপরে নতুন ব্যবস্থায় আলাদা ভাবে কোনও ছাড় না থাকায় পেশাদার কর পরামর্শদাতার সাহায্য ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে তা পূরণ করা সম্ভব। তার উপরে কর ছাড় যোগ হলে নতুন কাঠামোর জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘‘বাজেটের ঘোষণায় অর্থনীতিতে একটা ইতিবাচক আবহ তৈরি হবে। আর সেটাই আর্থিক বৃদ্ধিকে চালিত করবে। এই ধরনের আবহে সাধারণ মানুষের কেনাকাটা বাড়ে। তাঁরা খরচ করতে পারেন। সেই খরচের একাংশ করের মাধ্যমে সরকারের হাতে ফিরে আসে।’’
ছাড়ের ফলে সরকারের কর খাতে আয় ১.১ লক্ষ কোটি টাকা কম হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। আগরওয়াল জানান, তা পূরণের জন্য করের ভিত্তি আরও গভীর ও চওড়া করা হবে। অনেকেই রিটার্ন সংশোধন ও আপডেট করে অতিরিক্ত কর জমা দিয়েছেন। শীঘ্রই লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি পরামর্শ এসেছে আইনের ভাষা সরলের পক্ষে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)