আইডিবিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি এম এস রাঘবন ও টেলি সংস্থা এয়ারসেলের প্রাক্তন প্রোমোটার সি শিবশঙ্করনের বিরুদ্ধে ৬০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর করল সিবিআই। অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ও সিন্ডিকেট ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও কিশোর খারাট ও মেলয়িন রেগোর নামেও। যাঁরা এক সময় আইডিবিআই ব্যাঙ্কের পদস্থ কর্তা ছিলেন। তালিকায় রয়েছেন শিবশঙ্করনের ছেলে, তাঁর বিভিন্ন সংস্থা এবং আইডিবিআই ব্যাঙ্কের ১৫ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিকও। টাকার খোঁজে দেশে প্রায় ৫০টি জায়গায় বৃহস্পতিবার তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই।
কেলেঙ্কারির উৎস ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে শিবশঙ্করনের সংস্থাগুলিকে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের দেওয়া ৩২২ কোটি ও ৫২৩ কোটি টাকার ঋণ। সিবিআই মুখপাত্রের অভিযোগ, সমস্ত নিয়ম, শর্ত, নির্দেশ ও প্রক্রিয়া অমান্য করে তা মঞ্জুর করেছিলেন ব্যাঙ্কটির অভিযুক্ত ওই সমস্ত শীর্ষ কর্তা ও আধিকারিকেরা। উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল যাঁদের। ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটিকে প্রায় ৬০০ কোটি লোকসান গুনতে হয়। কারণ ওই ধার অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়েছিল।
এফআইআরে অভিযোগ, ২০১০-এর অক্টোবরে ৩২৩ কোটি ধার দেওয়া হয়েছিল শিবশঙ্করনের ফিনল্যান্ডের সংস্থা উইন উইন্ড ওয়-কে। ২০১৩ সালে সে দেশে দেউলিয়া ঘোষিত হয় সেটি। অথচ সংস্থাটি গোটানোর তোড়জোড়ের সময়ই ২০১৪ সালে তার সহযোগী শিবশঙ্করনের অ্যাক্সেল সানসাইনকে ফের প্রায় ৫২৩ কোটি ধার দেয় আইডিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিদেশে লগ্নির নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার ঋণ শোধ করতে তা করা হয়েছিল। পরে সব ঋণই অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy