প্রতীকী ছবি।
ভারতের রাস্তায় বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। বলছে, পেট্রোল-ডিজেল নয়, আগামী দিনে শুধু এই ধরনের গাড়িই আনার জন্য প্রস্তুত হতে সব সংস্থাকে। কারণ, দূষণ কমানো ও তেল আমদানি খাতে খরচ ছাঁটার একমাত্র পথ সেটাই। এ বার সেই পথে হাঁটতে উল্টে কেন্দ্রের কাছেই বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদি নীতি তৈরির দাবি জানাল গাড়ি শিল্পমহল।
সম্প্রতি দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল ও নিতিন গড়কড়ী ২০৩০ সাল থেকে দেশে শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এ প্রসঙ্গে গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়ামের ডিরেক্টর জেনারেল বিষ্ণু মাথুরের দাবি, বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে সার্বিক নীতির অপেক্ষায় রয়েছে এই শিল্প। আর জাপানি বহুজাতিক হোন্ডা বলছে, আগে নির্দিষ্ট পথ নির্দেশ দিক সরকার। সংবাদ সংস্থাকে তাদের প্রেসিডেন্ট তথা সিইও ওয়াই উয়েনো বলেন, ‘‘বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে ভারতের ভাবনার কথা জানি। এ জন্য একটি যথাযথ রূপরেখা দরকার। যেমন, চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো তৈরির মাপকাঠি কী হবে ইত্যাদি।’’
মাথুর অবশ্য জানিয়েছেন, কেন্দ্র ভাবার আগেই বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়ে সিয়াম ২০১১ সালে প্রথম ন্যাশনাল মিশন অব ইলেকট্রিক মোবিলিটির নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করেছিল। পরে ২০১৩-তে তাদের সঙ্গে হাত মেলায় কেন্দ্র।
শিল্পের যুক্তি, বড় পুঁজি নির্ভর শিল্পে নতুন নীতি কার্যকর করতে অন্তত ৫-৭ বছর লাগে। তাই কেন্দ্র দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা স্পষ্ট না করলে, নিছক ঘোষণার উপর নির্ভর করে লগ্নির সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ নয়। তাদের মতে, সুস্পষ্ট নীতি না-থাকলে বাজার অস্থির হতে পারে। যেমন, পুরো বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির খরচ বেশি বলে হাইব্রিড (জ্বালানি ও বিদ্যুৎ) গাড়ি তৈরিতে জোর দিতে আগে আর্থিক সুবিধা দিত কেন্দ্র। তাই অনেকে তা আনতে লগ্নি করে। কিন্তু পরে কেন্দ্র সেই সুবিধা তুলে নেয়। বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রেও যাতে এমন না হয়, তা নিশ্চিত করতেই দীর্ঘ মেয়াদি নীতির জন্য এই দরবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy