Advertisement
E-Paper

ভোট মেপে ভাবনা দ্রুত দু’কিস্তির 

বাজেটে ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীষূষ গয়ালের ঘোষণা ছিল, যে সমস্ত কৃষক পরিবারের হাতে ২ হেক্টর পর্যন্ত চাষযোগ্য জমি রয়েছে, বছরে ৬,০০০ টাকা সরাসরি যাবে তাঁদের অ্যাকাউন্টে। তা দেওয়া হবে ৩ কিস্তিতে। প্রতি বার ২,০০০ টাকা করে। তাঁর দাবি ছিল, এতে উপকৃত হবে অন্তত ১২ কোটি কৃষক পরিবার।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:২৯

চাষিদের ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দিতে বছরে ৬,০০০ টাকা দেওয়ার কথা অন্তর্বর্তী বাজেটেই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ভোট মাথায় রেখে তার প্রথম কিস্তি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল ৩১ মার্চের মধ্যে। কিন্তু সরকারি সূত্রে খবর, ওই প্রকল্পের দু’কিস্তি টাকা (২,০০০ টাকা করে মোট দু’বারে মোট ৪,০০০ টাকা) ব্যালট যুদ্ধে যাওয়ার আগেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিতে এখন উঠে পড়ে লেগেছে মোদী সরকার। শেষ পর্যন্ত সত্যিই তা হলে, বিরোধীদের তরফ থেকে ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনা’র অভিযোগ আরও জোরালো ভাবে ওঠার সম্ভাবনা।

বাজেটে ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীষূষ গয়ালের ঘোষণা ছিল, যে সমস্ত কৃষক পরিবারের হাতে ২ হেক্টর পর্যন্ত চাষযোগ্য জমি রয়েছে, বছরে ৬,০০০ টাকা সরাসরি যাবে তাঁদের অ্যাকাউন্টে। তা দেওয়া হবে ৩ কিস্তিতে। প্রতি বার ২,০০০ টাকা করে। তাঁর দাবি ছিল, এতে উপকৃত হবে অন্তত ১২ কোটি কৃষক পরিবার।

সেই প্রসঙ্গেই কৃষি মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আমলা জানিয়েছেন, কারা এই টাকা পাওয়ার যোগ্য, জোরকদমে তার তালিকা তৈরির কাজ চলছে বিভিন্ন রাজ্যে। কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্রে জমির ডিজিটাল রেকর্ড রয়েছে। তেলঙ্গানা, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে ইতিমধ্যেই চালু রয়েছে চাষিদের জন্য এ ধরনের প্রকল্প। ফলে প্রাথমিক তালিকা খুব শীঘ্রই তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই অফিসারের দাবি, ‘‘লোকসভা ভোটের আগেই দু’কিস্তিতে মোট ৪,০০০ টাকা যোগ্য ছোট চাষিদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে আমাদের ধারণা।’’

বাজেটে এই প্রকল্প ঘোষণার পরে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কটাক্ষ ছিল, ‘‘বছরে ৬,০০০ টাকা মানে দিনে প্রায় ১৭ টাকা। অর্থাৎ, পাঁচ জনের পরিবারে মাথাপিছু ৩ টাকা ৪০ পয়সা মতো। যা আসলে আধ কাপ চায়ের দাম!’’ একই সঙ্গে তিনি-সহ বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, এ আসলে ঘুরিয়ে টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা। এখন সেই অভিযোগ আরও জোরালো হবে বলে ধারণা অনেকের।

তবে সরকারি নির্দেশিকায় অবশ্য গোড়াতেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত পরিবারের কেউ সাংবিধানিক পদে রয়েছেন কিংবা কাজ করেছেন সরকার বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় অথবা মাসে পেনশন পান ১০ হাজার টাকার বেশি, তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে না। একই কথা প্রযোজ্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এমনকি আয়করদাতা হলেও। কিন্তু সমস্ত কিছুর পরেও ভোটের আগে দু’কিস্তি ঘিরে রাজনৈতিক তরজা আরও তেতো হওয়ারই সম্ভাবনা।

Farmer Farmers Account Finance Ministry
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy