আর্থিক বৃদ্ধির হিসাব কষার জন্য ভিত্তিবর্ষ বদলের কথা ভাবছে কেন্দ্র। বর্তমানে ২০১১-১২ সালকে ভিত্তিবর্ষ হিসেবে ধরা হয়। তা বদলে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ওই ভিত্তিবর্ষ ২০২২-২৩ করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সচিব সৌরভ গর্গ। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে দেশে চাকরির বাজারের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে। আর্থিক সুমারি নিয়ে মন্ত্রক কাজে নেমেছেন বলেও বার্তা তাঁর। এর পরেই সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের কটাক্ষ, অর্থনীতি যে খারাপ জায়গায় দাঁড়িয়ে, তা বলে দিচ্ছে জিডিপি-র পরিসংখ্যানই। অথচ কেন্দ্র তার উন্নতিতে মন না দিয়ে ভিত্তিবর্ষ বদলে উজ্জ্বল অর্থনীতির বার্তা দিতে চাইছে।
এর আগে শেষ ২০১১-১২ সালে আর্থিক বৃদ্ধির হিসাবের ভিত্তিবর্ষ বদলেছিল ইউপিএ সরকার। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিকবার সেই বছর বদলের কথা উঠেছে। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। গর্গ জানিয়েছেন, জিডিপি-র ভিত্তিবর্ষ নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস স্ট্যাটিস্টিক্স-এর ২৬ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি কাজ করছে। যা ওই সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন নীতি স্থির করার জন্য যে ঠিকমতো ও নির্দিষ্ট সময়ে তথ্য পাওয়া জরুরি, তা বরাবরই বলেন বিশেষজ্ঞেরা। যদিও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সময়ে নানা তথ্য প্রকাশে অনীহার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এই অবস্থাতেই বৃদ্ধি হিসাবের ভিত্তিবর্ষ বদলের কথা জানাল সরকার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)