Advertisement
E-Paper

অপছন্দ, তবু প্লাস্টিক বস্তাই ভরসা কেন্দ্রের 

এখনও চাহিদা মেটাতে পারছে না চটকলগুলি। এমনকি জুট কমিশনারের অফিস সূত্রের খবর, বহু চটকল বাড়তি বস্তা তৈরির বরাতও নিতে চাইছে না।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৩৬
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চাহিদা মতো চটের বস্তা না-পাওয়ায় বাধ্য হয়ে প্লাস্টিকের বস্তা কিনতে রাজি হয়েছিল কেন্দ্র। না-চাইলেও, ৩.৫ লক্ষ বেল (এক বেল=৫০০ চটের বস্তা) প্লাস্টিকের বস্তা কেনার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছিল বস্ত্র মন্ত্রক। কিন্তু সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির শেষে বস্তার চাহিদা ও জোগানের ফারাক যা দাঁড়িয়েছে, তাতে ধান-গমের মতো শস্য ভরতে আরও ২ লক্ষ বেল প্লাস্টিক বস্তা কিনতে হতে পারে কেন্দ্রকে। কারণ এখনও চাহিদা মেটাতে পারছে না চটকলগুলি। এমনকি জুট কমিশনারের অফিস সূত্রের খবর, বহু চটকল বাড়তি বস্তা তৈরির বরাতও নিতে চাইছে না।

রবি মরসুমে কৃষি প্রধান প্রতিটি রাজ্যেই এ বছর ফলন ভাল হয়েছে। প্রথমে সকলের সঙ্গে কথা বলে বস্ত্র মন্ত্রক মনে করেছিল, ১৯ লক্ষ বেল চটের বস্তা লাগবে। তবে সূত্রের দাবি, এখন অন্তত ২১ লক্ষ বেলের বেশি লাগবে বলে ইঙ্গিত। অথচ, পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যের চটকলগুলি পুরোদমে উৎপাদন করলেও বড়জোর ১৫-১৬ লক্ষ বেল জোগাতে পারবে। ফলে আরও বেশি প্লাস্টিকের বস্তা কিনতেই হবে। জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী শুধু বলেছেন, প্রয়োজন অনেক বেশি, সেই তুলনায় বস্তা সরবরাহে সমস্যা রয়েছে।

কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী, খাদ্য শস্য ভরতে ১০০% চট বস্তা বাধ্যতামূলক। চিনিতে ২০%। দেশের কয়েক লক্ষ পাট চাষি ও চটকল শ্রমিকের স্বার্থে তা কিনতে কেন্দ্র বছরে ৬,৫০০ কোটি টাকার বেশি খরচ করে। সূত্রের খবর, কিছু রাজ্য প্লাস্টিক চাইলেও বেশির ভাগই চটের পক্ষপাতী। কারণ চট বস্তায় হাওয়া চলাচল ভাল হয়। শস্য নষ্ট হয় কম। ফলে ওই রাজ্যগুলিরও চাপ রয়েছে বস্ত্র মন্ত্রকের উপর। কিন্তু পর্যাপ্ত জোগানের সম্ভাবনা দেখছে না জুট কমিশনারের অফিস।

Jute Mill Jute Bag Plastic Bag
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy