২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩৭৫টি পণ্য ও পরিষেবায় জিএসটি-র হার কমতে চলেছে। তার প্রতিফলন কতটা জিনিসপত্রের দামে পড়বে সে ব্যাপারে শুরু হয়েছে আলোচনা। বিশেষ করে এই সংক্রান্ত নজরদারির ব্যবস্থা যেহেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আগেই। কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর পর্ষদ (সিবিআইসি) অবশ্য ক্রেতাদের কাছে দামের সুবিধা পৌঁছনোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তবে পর্ষদের শীর্ষ পদাধিকারী সঞ্জয় আগরওয়ালের বক্তব্য, তার পরেও অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।
জিএসটি কমার ফলে জিনিসপত্রের দাম কমলে আমেরিকায় রফতানি ধাক্কা খাওয়ার ক্ষতি পুষিয়ে যাবে বলে আশা করছে সরকার। কিন্তু কর কমার সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখবে কে? এই প্রশ্নে মোদী সরকারকে আক্রমণ শুরু করেছে বিরোধীরা। সিবিআইসি প্রধান বলেন, ‘‘আমরা আত্মবিশ্বাসী। তবু যদি অভিযোগ আসে, শিল্পের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করব।’’ তাঁর যুক্তি, অতীতে নিয়ন্ত্রকের কাছে খুব বেশি অভিযোগ জমা পড়েনি।
অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাবি, জিএসটি কমার ফলে ৪৮,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির হিসাব কষা হলেও বিক্রিবাটার হাত ধরে সেই ঘাটতি পুষিয়ে যাবে। রাজকোষ ঘাটতিকেও লক্ষ্যমাত্রার (৪.৪%) মধ্যে বেঁধে রাখা সম্ভব হবে। আজ এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, গত ডিসেম্বরে তাঁকে জিএসটি ব্যবস্থার পুনর্গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুযায়ী তিনি কাজ শুরু করেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)