বিভিন্ন পণ্যে জিএসটির হার কমার কারণে এ বার উৎসবের মরসুমের বিক্রিবাটা নিয়ে আশাবাদী কেন্দ্র। একই সঙ্গে প্রত্যাশার পারদ চড়ছে রাজ্যেও। বাংলার ব্যবসায়ী মহলের দাবি, বহু দিন পরে বাজারের ভিড়ভাট্টা চোখে পড়ার মতো।
ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি সুশীল পোদ্দারের দাবি, জিএসটি কমার ফলে উৎসবের মরসুমে এখনও পর্যন্ত সামগ্রিক বিক্রি ১৫%-২০% পর্যন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে গাড়ি বিক্রি বেড়েছে সর্বাধিক, প্রায় ৩৫%। বৈদ্যুতিন, বৈদ্যুতিক এবং জামাকাপড়ের বিক্রি বৃদ্ধিও গড়ে ২০ শতাংশের বেশি। বৈদ্যুতিন পণ্য নির্মাতা হায়ার জানিয়েছে, তারা গোটা বছরে টিভি এবং ফ্রিজ় বিক্রির যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল, তার ৮৫ শতাংশই পূরণ হয়ে গিয়েছে এই ক’দিনে। এই শিল্পের বেশির ভাগ সংস্থারই বক্তব্য, এ বছর বিক্রির হার অনেকটাই ভাল।
রিলায়্যান্স রিটেল গত বছরের তুলনায় এ বার উৎসবের আবহে ২৫% বেশি বিক্রি করেছে ইতিমধ্যেই। এখনও এই মরসুমের অনেকটা কাটানো বাকি। ফলে বিক্রি বৃদ্ধির হার নজিরবিহীন হওয়ার সম্ভাবনা বহাল।
কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের দাবি, গত ৩০ সেপ্টেম্বর, অষ্টমীর দিন গোটা দেশে মারুতি সুজ়ুকি ৩০ হাজারের বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে। যা ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দুর্গাপুজোর সময় আট দিনে বিক্রির সংখ্যা প্রায় ১.৬৫ লক্ষ। উৎসবের বিক্রিতে নজির গড়েছে মহিন্দ্রা, টাটা মোটরসের মতো সংস্থাও। গাড়ি বিক্রেতাদের সংগঠন ফাডার আশা, চলতি অর্থবর্ষে গাড়ি বিক্রির সংখ্যা অনেকটা বাড়বে। তবে তাদের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা রোহিত চৌধুরী বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর চেয়ে বিক্রি অনেক বেশি হচ্ছে দিওয়ালিতে। সেই কারণে বিক্রেতারা বেশি সময় বিপণি খোলা রাখছেন।’’
সাউথ সিটি মলের পক্ষে অমিত কুমারেরও দাবি, এ বছর ক্রেতার ভিড় বেশি। জামাকাপড়, গয়না, ঘড়ি এবং বিভিন্ন বৈদ্যুতিন পণ্যের চোখে পড়ার মতো কেনাকাটা চলছে। দুর্গাপুজোর পরে দিওয়ালিতেও ভাল ব্যবসা হওয়ারই আশা। সূত্রের দাবি, গত বছরের থেকে বিক্রি বাড়তে পারে ১০ শতাংশের বেশি। কলকাতার আর এক শপিং মল অ্যাক্রোপলিসের পক্ষে শুভদীপ বসুর জানান, এ বার উৎসবের মরসুমে গত বছরের চেয়ে ১০%-১৫% বেশি মানুষ এসেছেন। পুজোর আট দিনে ২.১ লক্ষ জন এসেছিলেন। দিওয়ালিতে তা আরও বাড়তে পারে।
দিওয়ালিতে বিপুল বিক্রিবাটা হচ্ছে বলে দাবি নেট বাজারগুলিরও। অ্যামাজ়ন ইন্ডিয়া জানিয়েছে, প্রায় ২৭৬ কোটি গ্রাহক তাদের সাইটে এসেছেন। যার সিংহভাগই দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির শহরের। মিসো-র ক্ষেত্রে সংখ্যাটা প্রায় ২০০ কোটি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)