ফাইল চিত্র।
করোনা যুঝতে ব্যর্থতার অভিযোগ। প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি। তার মধ্যেই সারের দাম বাড়ায় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করেছিল। বুধবার সকালে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী অভিযোগ তোলেন, প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুদের সুবিধা পাইয়ে দিতে সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। তোপের মুখে বুধবার বিকেলে মোদী বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিলেন, দাম আগের জায়গাতেই বেঁধে রাখতে কেন্দ্র সারে ভর্তুকি বাড়াবে।
বিশ্ব বাজারে ফসফরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়ার দাম বাড়ায় ৫০ কেজি-র ডিএপি (ডাইঅ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম ৬০%-৭০% বেড়ে ২৪০০ টাকা হয়েছিল। সরকার তাতে ৫০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়ায় চাষিরা ১৯০০ টাকায় পাচ্ছিলেন। এত দিন মিলত ১২০০ টাকায়। আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্র ১২০০ টাকা ভর্তুকি দেবে। ফলে চাষিরা ১২০০ টাকাতেই সার পাবেন। তবে কেন্দ্রের সারে ভর্তুকি প্রায় ১৪,৭৭৫ কোটি টাকা বাড়বে। চলতি অর্থবর্ষে তা ৭৯,৫৩০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৯৪,৩০৫ কোটি হবে।
করোনার টিকা-ওষুধের অভাবের মধ্যেও দিল্লির সেন্ট্রাল ভিস্টা সাজাতে মোদী সরকারের ২০,০০০ কোটি টাকা খরচ নিয়ে উত্তপ্ত দেশ। ক্ষোভ চড়েছে তেলের দাম বৃদ্ধিতেও। কংগ্রেসের অভিযোগ, সার ১২০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৯০০ হওয়ায় চাষিদের উপরে প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকার বোঝা চাপবে। মোদী বুধবার সকালে গুজরাতে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি দেখতে যান। দিল্লিতে ফিরেই সারের দর নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে বলেন, বিশ্ব বাজারে দাম বাড়লেও দেশে চাষিরা যাতে আগের দামেই সার কিনতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy