নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে রুগ্ণ কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাগুলির ঝাঁপ বন্ধ করা সম্ভব হয়, সে জন্য বুধবার প্রয়োজনীয় নীতি বদলে অনুমতি দিল মন্ত্রিসভা। ওই সব সংস্থার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি যাতে দ্রুত বিক্রি করা যায়, তা-ও নিশ্চিত করতে চেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এ দিনের সিদ্ধান্ত—
• রুগ্ণ সংস্থাগুলি বন্ধ করার প্রতিটি প্রক্রিয়া যাতে সময় মেনে হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। সেই নিয়ম অনুসারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক বা দফতর বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেবে।
• ওই সব সংস্থার কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
• ২০০৭ সালের বেতন কাঠামো অনুসারে কর্মীদের স্বেচ্ছাবসরের সুবিধা দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে এখন কর্মীরা যে বেতন কাঠামোর আওতাতেই থাকুন না কেন, প্রত্যেকেই ওই বছরের কাঠামো অনুসারে অর্থ পাবেন।
• রুগ্ণ সংস্থাগুলির জমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কম দামের আবাসন প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
• যে সব রুগ্ণ সংস্থা বন্ধ করার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বা নীতিগত সায় ইতিমধ্যেই মিলে গিয়েছে অথবা যেগুলির ঝাঁপ বন্ধের জন্য আর্জি জানানো হয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, গত ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে রুগ্ণ কেন্দ্রীয় সংস্থা বন্ধের যে নিয়ম আনা হয়েছিল, বুধবারের নীতি পরিবর্তনের হাত ধরে সেটি বাতিল হয়ে যাচ্ছে।