আলিপুরে মূলত চর্ম, বস্ত্র ও কুটির শিল্প কেন্দ্র শিল্পান্ন ভবনের উদ্বোধনে এসে বৃহস্পতিবার ফের রাজ্যে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পের সাফল্যকে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, পশ্চিমবঙ্গে এমন সংস্থার সংখ্যা ৯০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। কাজ করছেন ১.৩০ কোটি মানুষ। দেশের মধ্যে ক্ষুদ্রশিল্প ক্ষেত্রে শীর্ষে বাংলাই। মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও একাধিক বার এই দাবি করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, হালে এ রাজ্যে ছোট শিল্পের পথে মূল বাধা হিসেবে পুঁজি, প্রকৃত শিক্ষা এবং পরিবেশে ঘাটতির কথাও বলেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, ইতিমধ্যেই বাংলার ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলি ৯.৫০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। রাজ্যের প্রকল্প ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’-এও সেই অঙ্ক ২০০০ কোটি টাকা পেরোবে। পাশাপাশি, এখানে রয়েছে ৬০০-র বেশি ক্ষুদশিল্প ক্লাস্টার, ২০০-র বেশি শিল্পতালুক। দক্ষ কর্মীর নিরিখেও বাংলা দেশের সেরা, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
এ দিন তিনি জানান, রাজ্যের ২৩টি জেলায় একটি করে শপিং মল তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রায় বিনামূল্যে (এক টাকার বিনিময়ে) জমি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। লক্ষ্য মূলত স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং ক্ষুদ্রশিল্পের তৈরি সামগ্রীকে এই ধরনের ঝকঝকে বিপণিতে রেখে প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা। মমতার বার্তা, এই শপিং মলগুলির দু’টি তলা সরকারকে দিয়ে বাকি অংশ নির্মাণ সংস্থা নিজেদের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির উন্নয়নের জন্য নিরন্তর চেষ্টা করছে তাঁর সরকার। তাদের সাহায্য করতেই প্রতিটি জেলায় শপিং মল, শিল্পান্নের মতো প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।
শিল্পান্নের সাজ। —নিজস্ব চিত্র।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)