আলোচনার দরজা খোলা রেখেও শুল্কের পাঁচিল তোলা নিয়ে যুযুধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিন।
ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে চড়া শুল্ক বসানোয়, তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ফল, মাংস ইত্যাদি ১২৮টি মার্কিন পণ্যে ৩০০ কোটি ডলারের শুল্ক চাপিয়েছে বেজিং। তার পরে মঙ্গলবার চিনের হুমকি, তারা এই যুদ্ধের শেষ দেখে ছাড়বে। উল্টো দিকে, ক্ষুব্ধ মার্কিন বাণিজ্য সচিব স্টিভেন মনুচিনও বলেছেন, রফাসূত্র না মেলা পর্যন্ত বহাল থাকবে চড়া আমদানি শুল্ক।
আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য-যুদ্ধের পারদ চড়ার মধ্যেই চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, ‘‘চিন কারও সঙ্গে বাণিজ্য-যুদ্ধ চায় না। কিন্তু তা বলে আমরা লড়াইকে ভয় পাই না। কেউ বন্দুক ধরলে বা যুদ্ধ শুরু করলে আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। সেই ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে।’’
নিজেদের ন্যায্য অধিকার বুঝে নিতে ও স্বার্থ বজায় রাখতে চিন যে পিছপা হবে না, তা স্পষ্ট করে দেন শুয়াং। তবে তিনি জানান, ‘‘আলোচনার দরজা খোলা রাখার উপরেই জোর দিচ্ছে চিন। তবে যে কোনও রফা বা কথাবার্তাই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিধি মেনে। আমেরিকার নিজস্ব আইনের ভিত্তিতে নয়।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, প্রভুত্ব খাটালে বা একগুঁয়ে মনোভাব দেখালে আলোচনা এগোনো যাবে না। কথা হবে সমতার ভিত্তিতে, পারস্পরিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে।
যুযুধান
আমেরিকার সওয়াল
• ১২৮টি মার্কিন পণ্যে চিনের আমদানি শুল্ক চাপানো অনৈতিক
• আর্জি মার্কিন গাড়ির উপর চড়া শুল্ক বসানো থেকে সরে আসার
• আলোচনার দরজা খোলা রাখতে উদ্যোগী ট্রাম্প
• রফাসূত্র না মেলা পর্যন্ত আমেরিকা বহাল রাখবে
চড়া শুল্ক
চিনের পাল্টা
• বাণিজ্য যুদ্ধের শেষ দেখে ছাড়বে বেজিং
• কথা চলবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিধি মেনে, আমেরিকার শর্তে নয়
• রক্ষণশীল মনোভাব ছাড়তে হবে আমেরিকাকে
উল্লেখ্য, আমেরিকা থেকে আসা শুয়োরের মাংস সমেত আটটি পণ্যে ২৫% শুল্ক বসিয়েছে চিন। আরও ১২০টি পণ্যে তা ১৫%। ক্ষোভ উগ্রে দিয়ে আমেরিকা চিনের সিদ্ধান্তকে ‘অনৈতিক’ তকমা দিয়েছে। তাদের দাবি, আমদানি করা বিভিন্ন মার্কিন পণ্যকে চড়া শুল্কের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত থেকে সরুক চিন। মার্কিন গাড়ির উপর শুল্ক তুলে নেওয়া, আর্থিক পরিষেবা সংস্থায় বিদেশি মালিকানায় অনুমতি দেওয়া ও আরও বেশি করে মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর কেনার পথে হাঁটতে চিনকে আর্জি জানিয়েছে আমেরিকা।
আলোচনার পথ খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্পও। হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো জানান, মনুচিন ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি লাইথাইজারকে বিরোধ মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্প এ দিনও বলেছেন চিনের সঙ্গে ৫০ হাজার কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতি মেনে নেওয়া য়ায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy