সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা নেই। বরং নিঃশব্দেই কখনও ভারত থেকে চিনা কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে বেজিং। কখনও আটকে দিচ্ছে বিরল খনিজ এবং উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির রফতানি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ভারতে স্মার্টফোন তৈরির কর্মকাণ্ড চালাতে প্রয়োজনীয় রফতানিতে এ ভাবেই পাঁচিল তোলার কৌশল নিয়েছে চিন। ফলে চলতি অর্থবর্ষে এ দেশের ৩২০০ কোটি ডলার মূল্যের স্মার্টফোন রফতানির লক্ষ্য কার্যত বিশ বাঁও জলে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সংগঠন আইসিইএ-র দাবি, চিন দক্ষ কর্মী, বিরল খনিজ এবং যন্ত্রপাতি রফতানি বন্ধ করায় ফোনগুলি তৈরি করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সমস্যার কথা জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে তারা। সেখানে বার্তা— এক, অবিলম্বে চিনের সঙ্গে আলোচনায় বসা হোক। দুই, বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ এবং যন্ত্রাংশ তৈরিতে দেশের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গতি আনা হোক। তিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনামের মতো দেশের সঙ্গে জোট বেঁধে খোলা হোক বিকল্প জোগানের পথ। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অ্যাপল, স্যামসাং-সহ অনেকেই ভারতে স্মার্টফোন তৈরি বাড়াচ্ছে। এই ক্ষেত্রে এ দেশকে চিনের বিকল্পও ভাবছে কেউ কেউ। তবে ফোন তৈরির কাজে প্রয়োজনীয় কর্মী, উপাদান বা যন্ত্রাংশে সকলই এখনও চিন নির্ভর।
তাই একাংশের সন্দেহ, রফতানি আটকানো হচ্ছে ইচ্ছে করে। ভারতের স্মার্টফোন তৈরির কেন্দ্র হয়ে ওঠার লক্ষ্যকে ভেস্তে দিতে চায় বেজিং।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)