প্রতীকী ছবি
এক দিকে কলকাতা থেকে শাখা সংস্থাগুলির দফতর সরানো। অন্য দিকে কয়লা ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানোর ঘোষণা। এই দুই সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে ফেটে পড়ছেন কোল ইন্ডিয়ার (সিআইএল) কর্মীরা। আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে ইউনিয়নগুলি। উত্তাপ আঁচ করে তড়িঘড়ি সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়ে দিয়েছেন, সিআইএল বেসরকারিকরণের কোনও পরিকল্পনা নেই। ফলে ভয় অমূলক।
যদিও মন্ত্রীর কথায় আশ্বস্ত নয় কোল ইন্ডিয়ার কর্মী ইউনিয়নগুলি। সংস্থায় সিটু অনুমোদিত অল ইন্ডিয়া কোল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ডি ডি রামানন্দ বলেন, “বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগ প্রবেশের যে অনুমতি কেন্দ্র দিয়েছে, তা কোল ইন্ডিয়ার স্বার্থের পরিপন্থী। এর ফলে ভবিষ্যতে সংস্থাটি রুগ্ণ হয়ে পড়লেও আশ্চর্য হব না। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে সিআইএলের সব ইউনিয়নগুলিকে নিয়ে বৈঠক হবে।’’ সংস্থাটিতে ইনটাক অনুমোদিত রাষ্ট্রীয় কোল মজদুর সঙ্ঘের সহ-সভাপতি অনুপ রায়ও জানান যে, তাঁরা বেসরকারি উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তবে কয়লা বিশেষজ্ঞ এবং কোল ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পার্থসারথি ভট্টাচার্যের মতে, ভবিষ্যতে কয়লার চাহিদা যে রকম বাড়ার সম্ভাবনা, তাতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তা উত্তোলনে বেসরকারি সংস্থা অংশ নিলেও কোল ইন্ডিয়ার ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বরং এখন বছরে ২৪ কোটি টন আমদানি করতে হয়। বেসরকারি উদ্যোগে উৎপাদন বাড়লে তা অন্তত ৫০% কমানো সম্ভব। কয়লা খননে বেসরকারি উদ্যোগের প্রবেশে কোনও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন না বলে দাবি করেছেন সিআইএল কর্তৃপক্ষও।
এ দিকে, কলকাতা থেকে সিআইএলের শাখাগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়ে রাজ্যের বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা সিইএসসি ও ইন্ডিয়ান কোল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন কোল ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে। বলেছে, দফতরগুলি সরলে তারা সমস্যায় পড়বে।
আরও পড়ুন: করোনায় কাবু শেয়ার সূচক, সুযোগ নিতে বাজারে লক্ষ লক্ষ নতুন বিনিয়োগকারী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy