Advertisement
E-Paper

শিল্পের সমস্যা বুঝতে এ বার কমিটি কেন্দ্রের

মঙ্গলবার শিল্পমহলের সমস্যার কথা জানতে বণিকসভাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নতুন শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। নতুন কমিটি তৈরির কথা ঠিক হয়েছে সেখানেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১২
সুরেশ প্রভু

সুরেশ প্রভু

অর্থনীতির অসুখ সারাতে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ তৈরির কথা সোমবারই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এ বার শিল্পের মন বুঝতে মঙ্গলবার নতুন কমিটি তৈরিরও সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকারের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রক। তারা দেখবে, ঠিক কোথায় হোঁচট খাচ্ছে লগ্নি? শিল্পের চাকায় গতিই বা ফিরছে না কেন?

মঙ্গলবার শিল্পমহলের সমস্যার কথা জানতে বণিকসভাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নতুন শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। নতুন কমিটি তৈরির কথা ঠিক হয়েছে সেখানেই।

পরের লোকসভা ভোটের পৌনে দু’বছর আগে কেন্দ্র অর্থনীতি নিয়ে কতখানি চাপে, তা টের পাওয়া গিয়েছিল গত কালই। তিন বছরে যার প্রয়োজন বোধ করেননি, মনমোহন সিংহের পথে হেঁটে সেই উপদেষ্টা পরিষদ তৈরিতে বাধ্য হয়েছেন মোদী। তারপরে এ দিন ঠিক হয় যে, বাণিজ্য মন্ত্রকের শিল্পোন্নয়ন দফতরের সচিবের নেতৃত্বে একটি ‘রেগুলেটরি রিভিউ কমিটি’ তৈরি হবে। তাতে বণিকসভার সদস্যরাও থাকবেন।

এই কমিটি খতিয়ে দেখবে, নতুন লগ্নিতে বাধা কোথায়। প্রস্তাবিত দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের কাজ কোথায় আটকে, তার জন্যও তৈরি হবে নজরদারি কমিটি। এক কথায়, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র এত প্রচারের পরেও শিল্প ও লগ্নি ঝিমিয়ে কেন, সেই কারণ খুঁজে দেখবে তারা।

এ দিনের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন শিল্পোন্নয়ন দফতরের সচিব রমেশ অভিষেক, বাণিজ্য সচিব রীতা তেওটিয়া এবং অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনও। বৈঠক শেষে প্রভু বলেন, ‘‘কমিটি খতিয়ে দেখবে, বৃদ্ধির জন্য কী প্রয়োজন।’’ লাল ফিতের ফাঁস কোথায়, তা-ও খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।

মোদী সরকারের তিন বছরে দেশি শিল্পপতিরা যে তেমন ভাবে লগ্নি করছেন না, তার প্রমাণ মূলধনী পণ্য উৎপাদন ও ব্যাঙ্ক ঋণের অঙ্ক বৃদ্ধিতে মন্দ গতি। শিল্পমহলের যুক্তি, কারখানার এখনকার উৎপাদন ক্ষমতাই পুরোপুরি কাজে লাগছে না। তা হলে আর নতুন লগ্নি বা কারখানা হবে কেন?

প্রভুকে শিল্পপতিরা জানান, গড়ে কারখানাগুলির উৎপাদন ক্ষমতার ৭৪% ব্যবহার হচ্ছে। বাকি ২৬% কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, তা বণিকসভাগুলির কাছে জানতে চেয়েছেন মন্ত্রী। শিল্পমহলের মতে, এ জন্য দেশের বাজারে চাহিদা বাড়াতে হবে। সঙ্গে জরুরি রফতানি বৃদ্ধি। কিন্তু দু’টিতেই ভাটার টান। এই পরিস্থিতিতে ফের শিল্পমহলের দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার কমাক।

সেই সঙ্গে শিল্পমহলের অভিযোগ, জিএসটি চালুর পরে রফতানিকারীদের নগদ পুঁজি আটকে থাকছে। জিএসটি পরিষদের ৬ অক্টোবরের বৈঠকে এ বিষয়ে সুরাহা হতে পারে বলেও এ দিন আশ্বাস পেয়েছে শিল্প। প্রধানমন্ত্রীর নতুন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরজিৎ ভাল্লাও বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উচিত সুদ ১% বিন্দু কমানো। বৈঠকের পরে ফিকি-র প্রাক্তন সভাপতি আর ভি কানোরিয়া বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ হল, মন্ত্রী শিল্পমহলের আস্থা বাড়াতে চাইছেন।’’ এর পরে ছোট-মাঝারি শিল্পের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রভু।

Suresh Prabhu Stake Holders Industry Export Committee World Trade সুরেশ প্রভু
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy