সব ধরনের কাজ করার অধিকারই হোক বা পুরুষদের সমান বেতন। এত দিন বহু মহিলাদের বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠত বিভিন্ন মহলে। অথচ দেশকে আর্থিক উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাঁদের কর্মসংস্থান বাড়ানো জরুরি বলে ক্রমাগত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই অবস্থায় শুক্রবার থেকে চালু হওয়া চার শ্রম বিধিতে মহিলা কর্মীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা আনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, যার হাত ধরে মেয়েরা কাজের জগতে আরও বেশি করে পা রাখতে পারবেন। পাবেন সম্মানের সঙ্গে কাজের সুযোগ। পাশাপাশি, নেট নির্ভর কাজে যুক্ত (গিগ) কর্মীদেরও সামাজিক সুরক্ষার অধীনে এনেছে নতুন নিয়ম।
শ্রম বিধি অনুসারে, রাতে কাজই হোক বা খনন, ভারী যন্ত্র চালানোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে এখন থেকে সব ক্ষেত্রেই মহিলা কর্মী নিয়োগ করতে পারবে সংস্থাগুলি। এত দিন যা করা যেত না। সে জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে সংস্থাকে। পুরুষদের সমান বেতন, ন্যূনতম মজুরি, ৪০ বছরের বেশি বয়স হলে বিনামূল্যে বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগও পাবেন তাঁরা। কাজের দুনিয়ায় মেয়েদের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটিতে থাকতে হবে মহিলা প্রতিনিধি। সন্তানের জন্ম দিলে, দত্তক নিলে অথবা সারোগেসি-র মাধ্যমে মা হলে কত দিন মহিলা কর্মীরা ছুটি পাবেন তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে।
এ দিকে, দেশে অ্যাপ নির্ভর খাবার ও পণ্য পৌঁছনোর কর্মী, অ্যাপ ক্যাবের চালকেরা ছিলেন সামাজিক সুরক্ষা পরিধির বাইরে। নতুন শ্রমবিধিতে তাঁরাও সেই সুবিধা পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্মীদের অধিকার, নিয়োগপত্র দেওয়া, প্রভিডেন্ট ফান্ড, কর্মী রাজ্য বিমার মতো বিধিতে বলা নানা সুযোগ-সুবিধা তাঁদেরকে অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে সংগঠিত ক্ষেত্রের আওতায় আনবে। তবে গিগ কর্মীদের অধিকাংশই স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করেন, এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যান। ফলে কী ভাবে এই সমস্ত সুবিধা কার্যকর করা হবে, তা দেখা জরুরি বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)