খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার নেমে গেল আরও অনেকটা নীচে। গত মাসে নজির গড়ে তা থিতু হল ০.২৫ শতাংশে। বুধবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে দাবি, সাধারণ মানুষের ব্যবহার করার মতো প্রায় ৩৮০টি জিনিসে জিএসটির হার কমার ফলেই এতটা স্বস্তি মিলেছে। কর কমায় দাম কমেছে সেগুলির। তার উপর ৫.০২% মূল্য-হ্রাস হয়েছে খাদ্যপণ্যের। চোখে পড়ার মতো কমে গিয়েছে আনাজ, ভোজ্যতেল এবং ফলের দাম।
তবে সরকারি হিসাব প্রকাশের পরে ফের দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ক্রেতা-সহ সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেরই দাবি, দাম আগের থেকে কমেছে বটে। কিন্তু অনেকে ক্ষেত্রে এখনও তা স্বস্তি পাওয়ার মতো জায়গায় নামেনি। বরং বাজার গেলে আজও ছেঁকা খাচ্ছেন সাধারণ বা স্বল্প রোজগেরে মানুষেরা। বেগুন, লঙ্কার মতো আনাজে হাত ছোঁয়ানো কঠিন। খাদ্য-সহ সব নিত্য-পণ্যের খরচই কাটছাঁট ছাড়া উপায় নেই। সরকারি পরিসংখ্যানে মেলা স্বস্তি উধাও হচ্ছে বাস্তবের মাটিতে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজ়েশনসের জেনারেল সেক্রেটারি রবীন্দ্রনাথ কোলেও বলছেন, ‘‘এখনও বেশ কিছু আনাজের দাম বেশ চড়া। তবে আশা, শীতের ফলন বাজারে ঢুকলে তা কমবে।’’ তিনি জানান, সব থেকে বেশি দাম কড়াইশুঁটি, বেগুন, লঙ্কা, ঢেঁড়স, উচ্ছে, শসা, ক্যাপসিকাম ইত্যাদির।
অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরীর দাবি, খাদ্যপণ্যের দাম কমার যে হিসাব কেন্দ্র দিচ্ছে, তা এখনও খুচরো বাজারে প্রতিফলিত হচ্ছে না। হলে মানুষ উপকৃত হবেন। আইসিএআই-এর পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্তের মতে, কেন্দ্র জিএসটি কমায় মূল্যবৃদ্ধি এতটা নীচে নেমেছে বললেও, কর কমার পুরো সুবিধা বহু পণ্যের দামে মিলছে না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘খুচরো মূল্যবৃদ্ধির এই সরকারি হিসাব তুলে ধরছে না বাস্তবে ছবিকে। বহু ক্রেতার প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ উল্টো। দাম এতটা কমতে দেখছেন না তাঁরা। ফলে স্বস্তি ফিরছে না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)