গবেষণাকারী ক্যাপজেমিনি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতে বিত্তশালীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৩,০০০। এই প্রেক্ষিতে দেশের মানুষের আর্থিক বৈষম্যকে কেন্দ্র করে মোদী সরকারকে আক্রমণ করল কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই আমলে বৈষম্যের মাত্রা ব্রিটিশ আমলকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পপতির একচেটিয়া প্রভাব বাড়ছে। তার জেরে চড়ছে জিনিসপত্রের দাম। সেই সঙ্গে আর্থিক বৈষম্য। রমেশের বক্তব্য, ‘‘মোদী সরকারের ১১ বছরে যে বৈষম্য উত্তরোত্তর বাড়ছে তা এই রিপোর্টে স্পষ্ট। মোদী রাজে ভারতের বৈষম্য ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক রাজকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে একচেটিয়া প্রভাব তৈরি হওয়ার ফলে জিনিসপত্র দামি হচ্ছে। অথচ গত এক দশকে আম ভারতবাসীর মজুরি এক জায়গায় আটকে। কৃষি শ্রমিক থেকে শুরু করে বেতনভুক মধ্যবিত্ত, সকলেরইএক অবস্থা।’’
অন্য দিকে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে অতি দরিদ্রের হার ৫.৩ শতাংশে নেমেছে। তবে কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরার যুক্তি, দৈনিক খরচের ক্ষমতা ৩ ডলার (প্রায় ২৫০ টাকা) ধরে এই হিসাব কষা হয়েছে। কিন্তু এই টাকার এক জন মানুষ কোনওক্রমে খেয়ে বাঁচতে পারে। সম্মানজনক জীবনধারণ করতে পারে না। রিপোর্টে, জিএসটি চালু এবং নোটবন্দির পরে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সাধারণ মানুষের অবস্থা ধরা পড়েনি। আসেনি অতিমারির সময়ে মানুষের দুরবস্থার প্রসঙ্গও।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)