দেশে দারিদ্র নিয়ে ফের মোদী সরকারকে তোপ দাগলেন বিরোধীরা। বিশ্ব ব্যাঙ্কের এপ্রিলের রিপোর্ট তুলে ধরে কংগ্রেসের দাবি, সেটি প্রকাশের তিন মাস পরে কেন্দ্রের নেতা-মন্ত্রীরা সত্যিটাকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন। দেখাতে চাইছেন বিশ্বে আর্থিক দিক থেকে সমতা থাকা দেশগুলির অন্যতম ভারত। অথচ এপ্রিলে বিরোধীরা বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট প্রকাশের পরেই স্পষ্ট দেখিয়েছিলেন বেতন বৈষম্য, দারিদ্র, বাজারে চাহিদা ও পরিসংখ্যানের জন্য মাপকাঠি ঠিকমতো বিচার না করার মতো ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। এক্স-এ রবিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, কেন্দ্র যে রিপোর্টকে অস্বীকার করতে চাইছে, তার কারণ তাদের কাছে ঠিক পরিসংখ্যান নেই। দারিদ্র নিয়ে তথ্য যথেষ্ট নয়। তাই কেন্দ্রকে পদক্ষেপ করতেও আর্জি জানিয়েছেন রমেশ।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক এপ্রিলে জানিয়েছিল, এক দশকে ভারতে দারিদ্র উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ১৭.১ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠে এসেছেন। আর সম্প্রতি তারা দাবি করে, বিশ্বে আর্থিক সমতা থাকা দেশগুলির মধ্যে অনেক উন্নত দেশের থেকেও এগিয়ে রয়েছে ভারত। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে দেশের স্থান চতুর্থ। চিন, আমেরিকারও অনেক আগে রয়েছে ভারত। সেই রিপোর্টই তুলে ধরে দারিদ্র দূরীকরণে সাফল্য দাবি করেছিল কেন্দ্র। রমেশের দাবি, রিপোর্ট অনুসারে মধ্য আয়ের তালিকায় নীচের দিকে থাকা দেশ হিসেবে ভারতের দারিদ্রের স্পষ্ট ছবি পেতে দিনে ৩.৬৫ ডলারে (প্রায় ৩১৪ টাকা) মানুষ দিন চালান ধরে হিসাব কষা জরুরি। সেই মাপকাঠিতে ২০২২-এ দারিদ্রের হার ২৮.১%। যেখানেএত বেশি দারিদ্র, সেখানে সমতার দাবি মানায় না বলেই তোপ তাঁর।
তা ছাড়া দেশে দারিদ্র নিয়ে স্বচ্ছ নীতির অভাব, পরিসংখ্যান ঠিকমতো না পাওয়া, তথ্যে গরমিলের অভিযোগ তুলে ধরে অবিলম্বে কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানিয়েছেন রমেশ। দাবি করেছেন, দারিদ্র মাপার মাপকাঠি বদল করা দরকার। একশো দিনের কাজের মতো প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, দেশে তথ্যের মান উন্নত করা, নিয়মিত তা প্রকাশ করা ও স্বচ্ছতায় জোর দেওয়া জরুরি। ধনী-গরিবের মধ্যে তফাত দূর করতে পারিবারিক আয়ে সাহায্য করা, সঞ্চয়ে উৎসাহ দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)