আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক বক্তব্য ভারতে মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। বুধবার নিউ ইয়র্কে কৃত্রিম মেধা (এআই) সম্মেলনে ট্রাম্প সে দেশের প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, আমেরিকায় স্বাধীনতার সুবিধা ভোগ করে অন্যান্য দেশে বিনিয়োগ, কর্মী নিয়োগ এবং মুনাফা ভোগ তাঁর শাসনকালে আর চলবে না। বক্তৃতায় ভারতের নামও উল্লেখ করেছেন তিনি। ফলে ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেনি কংগ্রেস।
সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘‘অনেক প্রযুক্তি সংস্থা এ দেশের স্বাধীনতার আশীর্বাদকে কাজে লাগিয়ে চিনে কারখানা তৈরি করছে, ভারত থেকে কর্মী নিয়োগ করছে, আয়ারল্যান্ডে মুনাফা ভোগ করছে। আপনারা তা জানেন। একই সঙ্গে তারা আমেরিকার নাগরিকদের কাজ থেকে বরখাস্ত করছে এবং দেশের মাটিতেই নাগরিক অধিকার হরণ করছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে সেই দিন শেষ।... আমরা চাই আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলি এই দেশেই থাকবে। আপনাদের সেটা করতে হবে।’’ এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের ব্যাখ্যা, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর ‘বন্ধু’ ট্রাম্প আবারও ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন। তিনি স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারতীয়দের আর কাজ দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে মোদীর মুখ খোলা উচিত।’’
ভারতের সঙ্গে আমেরিকার দফায় দফায় বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত বৈঠক চলছে। সম্প্রতি সে ব্যাপারেও দিল্লির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন ট্রাম্প। মন্তব্য করেন, ইন্দোনেশিয়া তাঁদের সঙ্গে যে ধরনের চুক্তি করেছে, ভারতও তেমনই করবে। এর অর্থ, এ দেশের দরজা আমেরিকার যাবতীয় পণ্যের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া।
এর আগে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়েও মোদী সরকারের পক্ষে অস্বস্তিকর মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। দাবি করেছিলেন, সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে তাঁরই জন্য। তিনি নাকি দু’দেশকেই হুমকি দিয়েছিলেন, যে সংঘর্ষ চালিয়ে যাবে, তার সঙ্গে আমেরিকা বাণিজ্য করবে না। এতে কাজ হয়েছে। এই সমস্ত বিষয়েও একাধিক বার মোদীর বক্তব্য দাবি করেছে বিরোধীরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)