Advertisement
২৪ মে ২০২৪
Adani Group

আদানিদের বিদ্যুৎ সংস্থার ঋণ নিয়ে তোপ

মঙ্গলবার ‘হাম আদানিকে হ্যায় কৌন’ নামে সিরিজ়ের লেখায় বিরোধী দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশের তোপ, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে আদানিদের বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফল ভুগছেন গ্রাহকেরা।

A Photograph of Congress Speaker Jairam Ramesh

কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩ ০৭:০৫
Share: Save:

আদানি নিয়ে মোদী সরকারের উপরে আক্রমণ বহাল রেখেছে বিরোধী কংগ্রেস। মঙ্গলবার ‘হাম আদানিকে হ্যায় কৌন’ নামে সিরিজ়ের লেখায় বিরোধী দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশের তোপ, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে আদানিদের বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফল ভুগছেন গ্রাহকেরা। তবে এই বিতর্কের মধ্যেই মঙ্গলবার ৭৩৭৪ কোটি টাকার শেয়ার বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণ শোধের কথা জানিয়েছে গৌতম আদানির সংস্থাটি। পাশাপাশি দাবি করেছে, এই মাসের মধ্যে শেয়ারের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ঋণ শোধ করবে তারা।

জানুয়ারিতে আদানিদের শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে আমেরিকার শেয়ার গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকেই টানা শেয়ার দর পড়ছে আদানিদের সংস্থাগুলির। এর মধ্যেই লগ্নিকারীদের আস্থা ফেরানোর জন্য ঋণ শোধের কথা জানিয়েছে তারা। যদিও প্রশ্ন উঠছে, যদি তাদের হাতে টাকা থেকেই থাকে, তা হলে ঋণ নিতে হল কেন? এই পরিস্থিতিতেই এখনও পর্যন্ত ২০১.৬ কোটি ডলার (প্রায় ১৬,৬০০ কোটি টাকা) শোধ করা হয়েছে বলে দাবি গোষ্ঠীর। এ দিন ঋণ শোধের ফলে তাদের চারটি সংস্থায় বন্ধক রাখা শেয়ার ফিরে পাবে আদানিরা। যদিও এই শেয়ার বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রমেশ। তাঁর দাবি, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ ভাবে বিদেশ থেকে যে ঋণ নিয়েছে আদানি ইলেকট্রিসিটি মুম্বই, তার শর্ত খুবই কঠোর। এতে শুধু সংস্থার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তিই বন্ড হোল্ডারদের হাতে যায়নি, গিয়েছে তাদের ঋণ, কার্যকরী মূলধন, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে হওয়া আয়ও। এমনকি মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের দেওয়া সংবহন এবং বণ্টনের লাইসেন্সও বন্ধক রাখা হয়েছে।

এই ঋণদাতাদের মধ্যে চিনা সংস্থাও রয়েছে দাবি করে কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, যদি ঋণ শোধে সংস্থা ব্যর্থ হয়, তা হলে বিদেশিদের হাতে সম্পদ যাওয়া রুখতে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? বিশেষত মুম্বইয়ের তিনটির মধ্যে দু’টি বাড়িতেই আদানিরা বিদ্যুৎ দেয়, সে ক্ষেত্রে শহরেরই বা কী অবস্থা দাঁড়াবে? এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মুখ খোলার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।তার উপরে আদানিদের সংস্থায় অডিটের গরমিল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রমেশ। অভিযোগ করেছেন, গুজরাতে আদানিদের বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির হাত ধরে মুনাফা হয়েছে সংস্থার। উল্লেখ্য, এ সপ্তাহেই গুজরাত সরকার জানিয়েছে, আদানিদের বিদ্যুতের দাম গত দু’বছরে ইউনিটে প্রায় ৬ টাকা বেড়েছে। সব মিলিয়ে সরকারের বিদ্যুতের দাম বাবদ দিতে হয়েছে ৮০০০ কোটি টাকারও বেশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE