E-Paper

আট বছর বদলায়নি বরাত-দর, রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ নির্মাণ-ঠিকাদারদের

সংগঠনের দাবি, কেন্দ্রের ক্ষেত্রে কাজ করলে প্রতি মাসে নিয়মিত টাকা মেটানো হয়। অথচ রাজ্য দেয় বছরে মাত্র দু’তিন বার। অম্লান ও রাজা জানান, এই নিয়ে বিভিন্ন দফতরের ঠিকাদারেরা কাজ না করে প্রতিবাদও করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৩১
কেন্দ্রীয় পূর্ত বিভাগ ২০২১-এ শেষবার রেট বদলেছিল।

কেন্দ্রীয় পূর্ত বিভাগ ২০২১-এ শেষবার রেট বদলেছিল। —প্রতীকী চিত্র।

কাঁচামালের দাম হু-হু করে বাড়লেও, ২০১৭ সালের পরে রাজ্যে নির্মাণ কাজের জন্য ঠিকাদারদার বরাত-দরের (রেট) বদল হয়নি বলেই অভিযোগ বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার। সংগঠনের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি সুশান্ত কুমার বসু জানান, কেন্দ্র বা অন্য রাজ্যে বিভিন্ন কাজের যে রেট, পশ্চিমবঙ্গে তা অন্তত ৩০% কম। তাই রাজ্যের কাজ করতে সঙ্গে সঙ্গে কোনও সংস্থা রাজি হয় না। তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যের হাতে টাকা না থাকায়, কাজ করলেও ঠিকাদারেরা বছর দুয়েক বকেয়া পাচ্ছেন না। এই দুই দাবিতেই আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

একই অভিযোগ করে সংগঠনের পক্ষে রাজা মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্র বা ভিন্‌ রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রতি বছর রেট বদল হয়। কিন্তু এখানে বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আবেদন করেও কাজ হয়নি। সুশান্ত জানান, রাজ্য সরকারি কর্তাদের জানানো হলে তাঁরা বলেন দরপত্রের থেকে বেশি দাম হাঁকতে। কিন্তু রাজ্যে বহু ছোট-বড় ঠিকাদার রয়েছেন, ফলে যে কেউ কম দামে কাজ করবেন। তাতে কাজের মানও যে থাকছে না, তা মেনেছে সংগঠনটি। তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুদীপ দত্ত জানান, কেন্দ্রীয় পূর্ত বিভাগ ২০২১-এ শেষবার এই রেট বদলেছিল। রেল, প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য মন্ত্রকও তার উপরে বাড়তি ফি ধরে দর ধার্য করে। কিন্তু রাজ্য শেষ আট বছর ধরে কিছুই করেনি।

অ্যাসোসিয়েশনের কলকাতা সেন্টারের চেয়ারম্যান অম্লান কুমার বিশ্বাসের আরও দাবি, রেট কম তো বটেই। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেও বকেয়া মেলে না। এর একটা কারণ কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের টাকা না পাওয়া। অন্য কারণ টাকার সংস্থান না করেই প্রকল্প ঘোষণা করা। যেমন, পথশ্রী। সংগঠনের আরও দাবি, কেন্দ্রের ক্ষেত্রে কাজ করলে প্রতি মাসে নিয়মিত টাকা মেটানো হয়। অথচ রাজ্য দেয় বছরে মাত্র দু’তিন বার। অম্লান ও রাজা জানান, এই নিয়ে বিভিন্ন দফতরের ঠিকাদারেরা কাজ না করে প্রতিবাদও করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। বকেয়া না মেটানো ও রেট বদল না করা নিয়ে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

construction Contractors Builder

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy