কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বাতিস্তম্ভ রঙ করার কাজ চলছে জোরকদমে। ‘এয়ার ডেকান’ এর দুই কর্মী বসে রয়েছেন কাউন্টারে। বিমান চলাচল নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে কোচবিহারে। দিন দুয়েক আগেই সংসদে অসামরিক বিমান পরিবহন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা জানিয়েছেন, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই কোচবিহার-কলকাতা বিমান চলাচল শুরু হবে। ‘এয়ার ডেকান’ ১৮ আসনের বিমান চালাবে। তার মধ্যে ৯ টি আসনের উপরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ভর্তুকি দেবে। তবে কবে থেকে বিমান চলাচল শুরু হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কোনও তারিখ জানানো হয়নি।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার কোচবিহার বিমানবন্দরের প্রধান প্রদীপ্ত বেজ বলেন, “আমরা সবরকম ভাবে প্রস্তুত আছি। নির্দিষ্ট করে আমাদের এখনও কিছু জানানো হয়নি।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দিন কয়েক আগে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কোচবিহার থেকে বিমান চলাচলের ব্যাপারে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বিমান চলাচল শুরু হতে চলেছে কোচবিহারে।” কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “সংসদে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে চলতি মাস থেকেই বিমান চলাচল করবে বলে জানানো হয়।”
রাজ আমলে বিমান চলাচল করত কোচবিহার থেকে। মাঝে বেশ কয়েকবার উড়ান চালু হয়েও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর উড়ান চালু হওয়ার এক মাসের মধ্যে ফের তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালে আবার বিমান চলাচল শুরু হবে বলে তোড়জোড় শুরু হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এয়ার ডেকান কর্তৃপক্ষ এএআইয়ের কাছে বিমান চলাচলের সময়সূচি জানিয়ে দেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট করে দিন জানানো হয়নি। এ বারে ফের আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন জেলার বাসিন্দারা। এএআই সূত্রে জানানো হয়েছে, কোচবিহারে ১৭১ একর জমির উপর বিমানবন্দর। এখন সেখানে ১০৬৯ মিটার রানওয়ে রয়েছে। সেই রানওয়ে ১৮ আসনের বিমান চলাচল করতে পারবে। এমনকি তাতে ২২ থেকে ২৬ আসনের বিমানও নামতে পারে। আরও বেশি আসনের বিমান ওঠানামার জন্য রানওয়ে ২৩০ মিটার বাড়াতে হবে। সেই কাজ অনেকটা এগিয়েছে বলেও তাঁদের দাবি।
এএআইয়ের এক আধিকারিক বলেন, “সাতদিন আগে তারিখ ঘোষণা হলেই বিমান চলাচল শুরু করা সম্ভব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy