Advertisement
E-Paper

লকডাউনে বন্ধ নোট ছাপাও

টাঁকশাল সূত্রে খবর, পর্যাপ্ত নোটের জোগান রয়েছে। তাই উদ্বেগের কারণ নেই।

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২০ ০৫:০৫

করোনা-যুদ্ধে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে সোমবার বিকেল থেকে। আপৎকালীন এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে বন্ধ করা হল পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি টাঁকশালও। আপাতত রবিবার পর্যন্ত এখানে নোট ছাপার কাজ বন্ধ থাকবে।

টাঁকশাল সূত্রে খবর, পর্যাপ্ত নোটের জোগান রয়েছে। তাই উদ্বেগের কারণ নেই। শালবনির টাঁকশাল টাউনশিপে জরুরি পরিষেবা চালু থাকছে। খোলা প্রশাসনিক ভবনও।

টাঁকশাল বন্ধের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে রবিবার রাতে, রাজ্য বাছাই করা জেলা-শহরে লকডাউন ঘোষণার পরে। জানা যাচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশিকা পালনই টাঁকশাল বন্ধের অন্যতম কারণ। টাউনশিপ চত্বরে কর্মীদের ঢোকা-বেরোনোতেও বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন কর্তৃপক্ষ। সোমবার থেকে টাঁকশাল টাউনশিপের ১ নম্বর গেট বন্ধ হয়েছে। ২ নম্বর গেটে যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। টাঁকশালের কর্মী সংগঠনের সহ-সভাপতি নেপাল সিংহ মানছেন, ‘‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই সোমবার থেকে নোট ছাপা বন্ধ রেখেছেন কর্তৃপক্ষ।’’

এক সময়ে ঠিক হয়েছিল, তিনটে নয়, সোম থেকে বৃহস্পতি, এই চার দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত একটি শিফটে কাজ হবে। ২৫% কর্মী হাজির থাকবেন। বাকিরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন। তবে লকডাউন ঘোষণা হতেই শেষ পর্যন্ত রবিবার রাতে টাঁকশাল বন্ধের সিদ্ধান্ত জানান কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, দেশে চারটি সরকারি টাঁকশাল আছে। তার মধ্যে শালবনিতে এখন ৫০০, ১০০, ৫০ ও ১০ টাকার নোট ছাপা হয়। সূত্রের খবর, দিনে প্রায় ২.৫ কোটি নোট ছাপা হয়। এই টাঁকশালের ৬৫%-৭০% কর্মীই ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা। ছুটি কাটিয়ে তাঁদের ক’জন সম্প্রতি ফিরেছেন। তাঁরা এখন ‘হোম আইসোলেশনে’ রয়েছেন।

Coronavirus Salboni Currency Printing Press
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy