—ফাইল চিত্র।
করোনা মোকাবিলায় এক দিকে ভারতে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার আশ্বাস। অন্য দিকে আমেরিকায় ২ লক্ষ কোটি ডলারের ত্রাণ চালু নিয়ে সেনেট ও হোয়াইট হাউসে ঐকমত্য হওয়া। এই দুইয়ের জেরে বুধবার চাঙ্গা হয়ে উঠল শেয়ার বাজার। সেনসেক্স বাড়ল ১৮৬১.৭৫ পয়েন্ট। ২০০৯ সালের পরে এক দিনে যা সূচকের সর্বোচ্চ উত্থান। সেনসেক্স থেমেছে ২৮,৫৩৫.৭৮ অঙ্কে। ৫১৬.৮০ পয়েন্ট বেড়ে নিফ্টি থামে ৮৩১৭.৮৫ অঙ্কে। লগ্নিকারীরা ফিরে পেয়েছেন ৬.৬৩ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ।
করোনার জের থেকে অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য ত্রাণ দিতে অবশেষে ঐকমত্যে পৌঁছেছে মার্কিন সেনেট ও হোয়াইট হাউস। এই খবরে সামনে আসার পরেই উৎসাহ দেখা গিয়েছে শেয়ার বাজারে। তার উপরে শীঘ্রই ভারতে দেড় লক্ষ কোটি টাকা ত্রাণ ঘোষণা হতে পারে বলে জল্পনা। এ সবেরই জের পড়েছে সূচকে। সেই সঙ্গে উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে করোনা সামলাতে কেন্দ্রের ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণাও। এতে সংক্রমণ আটকানো যাবে বলে আশা নানা মহলে। এতে উৎসাহী লগ্নিকারীরা।
এ বার কি বাজারে গতি ফিরছে, সেই প্রশ্নে অবশ্য দ্বিমত বিশেষজ্ঞেরা। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজ়ের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, ‘‘বাজার এ যাত্রায় সর্বনিম্ন অঙ্ক দেখে ফেলেছে বলেই ধারণা। এর পরে সূচক খুব বেশি পড়ার সম্ভাবনা কম। বরং ধীরে ধীরে উঠতে পারে। তবে স্বাভাবিক নিয়মে মাঝে মধ্যে মুনাফার টাকা তোলায় বাজার পড়তেও পারে।’’ তবে অনেকের মতে, আগামী কয়েক দিনে দেশে করোনা সংক্রমণের গতি কোন দিকে গড়ায়, সে দিকে চোখ থাকবে বাজারের।
বাড়ল কেন
• মার্কিন সেনেট ও হোয়াইট হাউসের ২ লক্ষ কোটি ডলারের ত্রাণ প্রকল্পে ঐকমত্য হওয়া।
• ভারতে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণের সম্ভাবনা।
• দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউনে করোনা সংক্রমণ রোখার আশা।
• বৃহস্পতিবার আগাম সেটলমেন্টের আগে শেয়ার কেনার হিড়িক।
বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিও শেয়ার বিক্রি কমিয়েছে। এ দিন তারা বেচেছে ১৮৯৩.৩৬ কোটি টাকার। ক’দিন আগে প্রায় নিয়ম করে ৩০০০-৫০০০ কোটির শেয়ার বেচছিল তারা।
তা ছাড়া আজ, বৃহস্পতিবার আগাম লেনদেনের সেটেলমেন্টের দিন। যাঁরা হাতে শেয়ার না-থাকলেও তা বিক্রি করে রেখেছেন, তাঁরা বুধবার থেকে শেয়ার কিনতে শুরু করেন। যা সূচকের উত্থানের অন্যতম কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy