Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

ঝড়ের মুখে ঋণে সাবধানি সরকার

লকডাউনে আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় রাজস্ব খাতে কেন্দ্রের আয়ও কমার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৩৮
Share: Save:

করোনাভাইরাসের জেরে ধাক্কা খাওয়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বা স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে জেনেও, ঋণের প্রশ্নে হঠকারিতা করল না মোদী সরকার।

আজ অর্থ মন্ত্রকের ঘোষণা, রাজকোষ ঘাটতি পূরণ করতে নতুন অর্থবর্ষে যে ৭.৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিতে হবে, তার মধ্যে বছরের প্রথমার্ধে নেওয়া হবে ৪.৮৮ লক্ষ কোটি। যা চলতি অর্থবর্ষের তুলনায় তেমন বেশি নয়।

লকডাউনে আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় রাজস্ব খাতে কেন্দ্রের আয়ও কমার আশঙ্কা রয়েছে। তবু সংশ্লিষ্ট মহলকে কিছুটা অবাক করে বাজেটে ঘোষণার থেকে বাড়তি ঋণ করা বা ঘাটতির রাশ আলগা করার পরিকল্পনা এখনই নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। আর্থিক বিষয়ক সচিব অতনু চক্রবর্তী বলেছেন, “যে কোনও প্রয়োজনে সরকারের হাতে যাতে যথেষ্ট নগদ থাকে, তা মাথায় রাখা হয়েছে। করোনা যুঝতে কেন্দ্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাস্থ্য খাতে হোক, অর্থনীতিকে রক্ষা করা হোক বা যে কোনও সময়ে ত্রাণের জন্য হোক, যাতে টাকার অভাব না-হয় তা হিসেব করেই বাজার থেকে ঋণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মাথায় রাখা হয়েছে বাড়তি খরচের কথা।”

বিদায়ী অর্থবর্ষে (২০১৯-২০) ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখা যাবে কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে। আজ সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, ২০১৯-২০ সালের এপ্রিল-ফেব্রুয়ারি, ১১ মাসে রাজকোষ ঘাটতি বাজেট লক্ষ্যের ১৩৫% ছাপিয়েছে। রাজস্ব আয়ের সংশোধিত লক্ষ্যের ৭৪.৫% আয় হয়েছে। বিলগ্নিকরণ থেকেও ২০১৯-২০ সালে ১.০৫ লক্ষ কোটি জোগাড়ের লক্ষ্য বাঁধা হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ৬৫ হাজার কোটি করা হয়। অথচ বাস্তবে আয় ৫০,২৯৮ কোটি। প্রায় ১৪,৭০০ কোটি কম। তবে অতনুর দাবি, ‘‘বিদায়ী অর্থবর্ষে ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই থাকবে। সংশোধিত অনুমান যথেষ্ট বাস্তবসম্মত।’’

নতুন অর্থবর্ষে কেন্দ্র বিদেশিদের জন্য সরকারি বন্ড ছেড়ে টাকা তুলতে চাইছে। সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ কথা ঘোষণার পরেই মঙ্গলবার বন্ডের সুদ কমেছে। তবে অনেকের আশা ছিল, লকডাউনের জেরে এপ্রিলে বাজার থেকে ধার করবে না কেন্দ্র। অতনু জানান, এপ্রিলেও প্রতি সপ্তাহে ১৯- ২০ হাজার কোটির ঋণপত্র ছাড়া হবে।

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE