তেল রফতানিকারীদের সংগঠন ওপেক উত্তোলন বাড়াবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবির পরেই বিশ্ব বাজারে পড়ল তেলের দাম। বৃহস্পতিবার বছরে প্রথমবার ব্যারেলে ৭৫ ডলার ছুঁয়েছিল তেল। শুক্রবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে ট্রাম্পের বক্তব্যের পরেই তা নেমে আসে। আজ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ব্রেন্টের দাম ছিল ৭২ ডলারের আশেপাশে। যার জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বিশ্ব বাজারে। তবে ট্রাম্প এই দাবি করলেও এর আগে ওপেকের অন্যতম সদস্য সৌদি আরব জানিয়েছিল, উত্তোলন বাড়ানোর কথা এখন ভাবছে না তারা।
ট্রাম্পের দাবি, সৌদি আরব-সহ ওপেকের বিভিন্ন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তাদের বলেছেন তেলের দাম কমাতে। আর তার পরেই দর নেমেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আগাম লেনদেনের বাজারে এমনিতেই তেলের দাম অনেকটা চড়া ছিল। ট্রাম্পের বক্তব্যের পরেই তা পড়ার আশঙ্কা করছিলেন লগ্নিকারীরা। যে কারণে হাতের চুক্তিপত্র বিক্রি করেন তাঁরা। ফলে নেমে আসে তেলের দাম। তবে চিনকে আরও কিছু দিন ইরানের তেল আমদানিতে সময় দেওয়া হতে পারে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাম্প প্রসাশনের আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, মে থেকে ভারত-সহ আটটি দেশের ইরান থেকে তেল কেনার নিষেধাজ্ঞায় ছাড় উঠে যাবে বলে সোমবার জানিয়েছে আমেরিকা। আবার রাশিয়ার তেলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ইউরোপের কিছু দেশে তা ঢোকা নিষিদ্ধ হয়েছে। এর জেরে জোগান ও দাম নিয়ে সংশয় ছড়িয়েছে।
আশঙ্কা বাড়িয়ে সৌদি আরব জানিয়েছিল, বিশ্বে মজুত ভাণ্ডার বাড়ছে। ফলে এখনই কিছু করার প্রয়োজন নেই। তবে ক্রেতাদের অনিশ্চয়তায় পড়তে দেওয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করেছিল তারা। অনেকের মতে, উত্তোলন বাড়ানো নিয়ে নানা পক্ষ বিভিন্ন কথা বললেও, শেষ পর্যন্ত কী হবে তা জানতে ওপেকের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy