বেশ খানিকটা দেরিতে হলেও, অবশেষে ভারতের ডিজিটাল বিপ্লবে শামিল হতে চলেছে ডাকঘর। কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, সামনের মাস থেকে পুরোদমে ডিজিটাল লেনদেন চালু হচ্ছে ডাকঘরে। অর্থাৎ অগস্ট থেকেই ডাকঘরে ইউপিআই-এর মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন গ্রাহকেরা।
সূত্রের খবর, স্পিড পোস্ট, পার্সেল বুকিং, চিঠি পোস্ট করা, যে কোনও স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে টাকা জমা কিংবা সেভিংস অ্যাকাউন্টে লেনদেন— সবই ‘ডায়নামিক কিউআর কোড’ মারফত অনলাইনে করা যাবে। ডাক বিভাগের দাবি, এতে বহু গ্রাহকের সুবিধা হবে। সব কাজের জন্য ডাকঘরে এসে লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হবে না। তবে ডিজিটালে পা মেলাতে তাদের এত দেরি হল কেন, সেই প্রশ্নও তুলছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। কর্মীদের অনেকেই মনে করাচ্ছেন, ২০১৫-এ ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ প্রকল্প চালুর কথা বলেছিল মোদী সরকার। অথচ ভারতে সব থেকে বেশি লেনদেনচলে যেখানে, সেই ডাকঘরকে ডিজিটাল করে তুলতেই ১০ বছর সময় লাগিয়ে দিল তারা।
পুরোদমে ডিজিটাল লেনদেন চালু হলে সুবিধার পাশাপাশি গ্রাহকদের কিছু অসুবিধার মধ্যেও পড়তে হতে পারে, মনে করছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যসোসিয়েশন’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাস জানান, ডিজিটাল লেনদেনের ফলে সব কিছুর উপর সরকারের নজরদারি বাড়বে। পরবর্তী কালে এই লেনদেনে চার্জ বসলে তা গ্রাহককেই দিতে হবে। যদিও ডাক বিভাগের যুক্তি, এখন সব জায়গাতেই অনলাইনে বাড়িতে বসে লেনদেন করা যায়। ডাকঘরের গ্রাহকদের সেই সুবিধা দিতেই এই উদ্যোগ।
এ দিকে, দেশের ডাক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের যে পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র, তার অন্যতম অঙ্গ হিসেবে চলতি মাস থেকে ডাকঘরের সফটওয়্যার বদলাচ্ছে বলেও দাবি ডাক বিভাগ সূত্রের। এত দিন টিসিএসের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হত। এ বার ডাক বিভাগ নিজেই তা তৈরি করেছে। ইতিমধ্যেই এই সফটওয়্যার পরীক্ষামূলক ভাবে কর্নাটক সার্কেলে ব্যবহার করছে তারা। আগামী ১৫ জুলাই থেকে সারা দেশের সমস্ত ডাকঘরে ব্যবহৃত হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)