এখনও পর্যন্ত মালিকানা বা অংশীদারি হাতে নিতে আগ্রহী সংস্থার দেখা নেই। তার বদলে বরং সঙ্কট ক্রমশ গভীর হচ্ছে জেট এয়ারের।
নতুন মালিকের খোঁজে আগ্রহপত্র পেতে ঋণদাতারা প্রাথমিক ভাবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাঁধলেও, কোনও সংস্থা লিখিত ভাবে আগ্রহের কথা জানায়নি। তাই কার্যত বাধ্য হয়ে সময় বাড়াতে হয়েছে। জানানো হয়েছে, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত জেটের বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রশ্ন পাঠিয়ে খোঁজখবর নিতে পারবেন আগ্রহী লগ্নিকারী। আর প্রাথমিক আগ্রহপত্র জমা দেওয়ার সময় বেড়ে হচ্ছে ১২ এপ্রিল। চূড়ান্ত দর জমা দিতে হবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে জেটের পক্ষে অন্যতম অস্বস্তিকর ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দেশের বাইরে। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে। মঙ্গলবার ভারত থেকে সেখানে পৌঁছেছিল জেটের একটি বোয়িং-৭৭৭ বিমান। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তার মুম্বইয়ের দিকে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বুধবারই সেই বিমানকে আটকে দেওয়া হয় আমস্টারডামে। সংস্থা সূত্রের খবর, স্থানীয় এক পণ্য ব্যবসায়ীর কাছে জেটের বেশ কিছু টাকা বকেয়া থাকায়, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে বিমান আটক করার বন্দোবস্ত করেছেন। কবে তা ছাড়া হবে, তা জানা যায়নি। সংস্থার এক কর্তার কথায়, ‘‘সময়টাই খারাপ যাচ্ছে।’’
কী ভাবে একটি সংস্থা অন্য দেশের বিমানকে এ ভাবে আটকে রাখতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে নেদারল্যান্ডসের বিমান পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কথা বলছে জেট।
বিপত্তি এখানেই শেষ নয়। এ দিন দুপুরেই বকেয়া না পেলে জেটকে আর তেল দেওয়া হবে না বলে ফের জানিয়ে দেয় আইওসি। এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় বার। পরে অবশ্য জ্বালানি সরবরাহে রাজি হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি।
জেট যে সমস্ত বিমান ভাড়ায় নিয়েছিল, তার অনেকগুলির ভাড়া না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিমান ভাড়া দেওয়া সংস্থাগুলি নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ-র কাছে অনুরোধ করেছিল সংশ্লিষ্ট বিমানের নথিভুক্তি বাতিলের জন্য। কারণ, যত দিন বিমানে ভারতীয় রেজিস্ট্রেশন থাকবে, ততক্ষণ সেগুলি ফেরত নিয়ে যেতে পারবে না তারা। বুধবার ডিজিসিএ এই কারণে সাতটি বিমানের নথিভুক্তি বাতিল করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy