ধর্মেন্দ্র প্রধান
কথা ছিল বছরে দু’কোটি কাজের। সেখানে দু’লক্ষ নিশ্চিত করতেই হিমসিম কেন্দ্র। অথচ দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে লোকসভা ভোট। এই পরিস্থিতিতে এ বার বেকারত্বের দায়ও কংগ্রেস এবং আরও বেশি করে গাঁধী পরিবারের উপর চাপাতে শুরু করল দিল্লি।
শুক্রবার তেল মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘‘যাঁরা তিন প্রজন্ম ধরে ক্ষমতায় ছিলেন, এখন তাঁরাই প্রশ্ন করছেন মোদীজি, চাকরি কোথায়?’’ তাঁর অভিযোগ, প্রায় সাত দশক ধরে মসনদে থাকা সত্ত্বেও ‘গাঁধী পরিবারের কংগ্রেস’ কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বাড়াতে পারেনি দক্ষতা এবং কর্মযোগ্যতা। অথচ এখন কেন্দ্রকে আক্রমণ করছেন কাজ নিয়েই।
গত লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিতেন বছরে দু’কোটি কর্মসংস্থানের। অথচ তাঁর জমানায় এখনও পর্যন্ত বছরে গড়ে দু’লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরি করতেই হিমসিম কেন্দ্র। মুখ রাখতে পিএফে নথিভুক্তি বাড়ার হিসেব দিতে হচ্ছে মোদীকে। শ্রম মন্ত্রকের সমীক্ষা বলছে, ২০১১ সালে যেখানে ৯.৩০ লক্ষ নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছিল, সেখানে ২০১৬ সালে তা নেমে এসেছে ২.৩১ লক্ষে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্মসংস্থান বাড়া তো দূর, বরং কাজের সুযোগ কমেছে ০.২%। সিএমআইই-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চে বেকারত্ব ৬.২৩%। গত ১৬ মাসে সর্বোচ্চ। সম্প্রতি রেলের ৯০ হাজার পদের জন্য আবেদন করেছেন আড়াই কোটিরও বেশি জন! উত্তরপ্রদেশে সরকারি অফিসে ৩৬৬টি পিওনের পদে আবেদন জমা পড়েছে ২৩ লক্ষ! ২৫৫ জন পিএইচডি। ২ লক্ষের বেশি ইঞ্জিনিয়ার।
নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যানও বলেছেন, কারখানায় কাজ তৈরি না হলে, বেকারত্বের খাদেই তলিয়ে যাবে ভারতীয় অর্থনীতির উড়ানের গল্প। সিএমআইই-র তথ্য বলছে, চাকরির বাজারে ঘাটতি ৮ কোটি কাজের। তার উপর প্রতি মাসে এই বাজারে পা রাখছেন কমপক্ষে ১০ লক্ষ জন। এই পরিস্থিতিতে তাই স্বাভাবিক ভাবেই মোদীর দিকে আক্রমণ শানাচ্ছেন বিরোধীরা।
বিজেপি সূত্রে খবর, তাদের কৌশল লোকসভা ভোটকে মোদী বনাম রাহুলের করে তোলা। গাঁধী পরিবারের সদস্য হিসেবে অতীতের দায় নিতে রাহুলকে বাধ্য করা। এ দিন প্রধানও প্রচারের সেই চিত্রনাট্যই অনুসরণ করেছেন বলে দলের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy