বছরের প্রথমার্ধে মাথা নামালেও, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্বেগ বাড়িয়ে জুলাই থেকে দেশে ফের বাড়তে শুরু করেছে ডিজিটাল জালিয়াতি। শুক্রবার এ কথা জানিয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর টি রবিশঙ্করের দাবি, সংখ্যার ভিত্তিতে হিসাব করলে দেখা যাবে, গত বছর ওএ বছরের জানুয়ারি-জুনে ডিজিটাল প্রতারণা কমছিল। কিন্তু তার পরেই তা ফের বাড়তে শুরু করেছে। ঠিক কতটা জালিয়াতি বেড়েছে, তা স্পষ্ট না বললেও তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বার করে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকাঠামো তৈরি করেছে আরবিআই। পাশাপাশি, কেন হঠাৎ বছরের মাঝখানে প্রতারণা মাথা তুলছে, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য আরবিআই-এর বার্ষিক রিপোর্ট বলেছে,তার আগের বছরে ৩৬,০০০-এর বেশি আর্থিক জালিয়াতি হয়েছিল দেশে। গত অর্থবর্ষে কমে দাঁড়ায় ২৩,৯৫৩টিতে। মূলত, কার্ড ও নেটের মাধ্যমে হওয়া ডিজিটাল লেনদেনেই প্রতারণা বেশি দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে আবার ৬০% জালিয়াতি হয়েছে বেসরকারি ব্যাঙ্কে। সেখানেই টাকার অঙ্কের বিচারে ৭১% হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে।
রবিশঙ্করের মতে, ব্যাঙ্কগুলিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা এখনও বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার মতো উন্নত নয়। তার উপরে শাখা চালাতে গিয়ে খরচের বড় অংশ যায়। যে কারণে প্রযুক্তির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেতারা। অথচ ইউপিআই-এর সুবিধা বিচার করার ক্ষমতা দেখিয়ে আর্থিক প্রযুক্তি সংস্থাগুলি দ্রুত ডিজিটাল লেনদেনের পথে হাঁটতে পারছে। আর তাই ডিজিটাল প্রতারণা রোখার পথ করে পরিষেবা বাড়াতে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের বেশি করে পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
ডেপুটি গভর্নর মনে করিয়েছেন, আগামী দিনে শুধু শক্তিশালী হিসাবের খাতাই ব্যাঙ্কের প্রতিযোগিতায় এগোনোর মাপকাঠি হিসেবে দেখা হবে না। বরং সেখানে পরিসংখ্যানের ব্যবহার, প্রযুক্তিতে কোন প্রতিষ্ঠান কতটা দড়, এই সবই বিচার হবে। তার উপরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের আনা ডিজিটাল মুদ্রাও দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা চেহারা পাল্টে দেবে বলে মনে করেন তিনি। তবে এখনও বেসরকারি ডিজিটাল মুদ্রা সম্পর্কে সারা বিশ্বের ধারণা তেমন স্পষ্ট নয় এবং এর ঝুঁকি নিয়ে সে ভাবে আলোচনাও হয় না বলে দাবি তাঁর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)