Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Budget 2024

টেলিকমে জরুরি করের সুবিধা, আর্জি নির্মলাকে

ডিপা-র বক্তব্য, দেশ জুড়ে মোট ৭.৭০ লক্ষ টেলিকম টাওয়ার রয়েছে। যেখানে অ্যান্টেনা-সহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রের (বিটিএস) মাধ্যমে ২জি, ৪জি ও ৫জি পরিষেবা দিচ্ছে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারীরা।

An image of Budget

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫১
Share: Save:

আধুনিক জীবনযাত্রায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। ফলে চাহিদা চড়ছে টেলিকম, বিশেষ করে তারহীন (ওয়্যারলেস) পরিষেবার। তাই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডর্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিপা) আর্জি, আসন্ন বাজেটে কর কাঠামোয় সংস্কারের পদক্ষেপ করুন তাঁরা। যাতে টেলিকম ক্ষেত্র কর সংক্রান্ত কিছু সুবিধা পায়। ডিজিটাল পরিষেবা বিস্তারের অন্যতম খুঁটি এই পরিকাঠামো নির্মাতা সংস্থাগুলি।

ডিপা-র বক্তব্য, দেশ জুড়ে মোট ৭.৭০ লক্ষ টেলিকম টাওয়ার রয়েছে। যেখানে অ্যান্টেনা-সহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রের (বিটিএস) মাধ্যমে ২জি, ৪জি ও ৫জি পরিষেবা দিচ্ছে বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারীরা। বর্তমান জীবনযাপনে অপরিহার্য সেই পরিষেবার বিস্তারে তাই একগুচ্ছ আর্জি জানিয়েছে তারা। যদিও এ বারের বাজেট লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। সেখানে কতটা বিস্তারিত পরিকল্পনা ঘোষণার সম্ভাবনা থাকবে, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী তা নিয়ে কিছুটা হলেও সংশয় রয়েছে।

তবুও অর্থমন্ত্রীর প্রতি তাদের বার্তা, তাদের ক্ষেত্রেও কাঁচামাল বা যন্ত্র কেনার জন্য আগে মেটানো করের টাকা ফেরতের সুবিধা (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট বা আইটিসি) চালু করা হোক। দাবি, ২০১৬ সালের খসড়া আইনে টেলিকম টাওয়ার-ও আইটিসি-র আওতায় রাখা হয়েছিল। তা কার্যকর না হওয়া সরকারের জিএসটি চালু করার প্রাথমিক লক্ষ্যকেই ব্যর্থ করে। কারণ কোনও ক্ষেত্রে পরের ধাপে করের হার বইতে হবে না এবং টেলিকম টাওয়ার সহ সমস্ত ধরনের যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে আইটিসি কার্যকর হবে, সেটাই ছিল জিএসটির মূল লক্ষ্য।

এ ক্ষেত্রে একটি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছে ডিপা। জানিয়েছে, শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রের (প্লান্ট অ্যান্ড মেশিনারি) উপরে জিএসটি মেলে। কিন্তু টাওয়ারকে তার আওতায় রাখা হয়নি। তাই ওই যন্ত্রের সংজ্ঞা বদলেরও আর্জি জানিয়েছে তারা।

সংস্থার করের হিসাব করার ক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তির সম্পদমূল্যের যে অবমূল্যায়ন হয়, তার অঙ্ক আয় থেকে বাদ দিয়ে করযোগ্য আয়ের হিসাব কষা হয়। টাওয়ারের ব্যাটারি-সহ কিছু যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে সেই ১৫% অবমূল্যায়ন ধরা হয় এখন। সেই হার বাড়িয়ে ৬৫% করার আর্জি জানিয়েছে তারা। যাতে তিন বছরেই সেগুলির খরচের প্রায় পুরোটা উঠে আসে। অর্থাৎ, তার পরে সেগুলি বদলের প্রয়োজন পড়বে। যা দূষণ হ্রাসেও সাহায্য করবে। পাশাপাশি জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ ও ডিজ়েল ক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসমূলে কর কাটার (টিডিএস) ব্যবস্থার সরলীকরণের আর্জি জানিয়েছে সংগঠনটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE