২ এপ্রিল, ৯ জুলাই, ১ অগস্ট। আর এ বার ৭ অগস্ট!
বৃহস্পতিবার যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৬৮টি দেশ এবং ২৭টি দেশের গোষ্ঠী ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের উপরে শুল্ক সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকায় সই করছেন, তখনও পর্যন্ত জানা ছিল তা শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু নির্দেশিকা প্রকাশ হওয়ার পরে দেখা গেল, শুল্ক কার্যকরের সময় আরও সাত দিন পিছিয়ে আগামী বৃহস্পতিবারে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, ৭ অগস্ট। ওয়াশিংটন জানিয়েছে, শুল্কের সবিস্তার কাঠামোগুলি তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের বক্তব্য, যে সমস্ত দেশের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয়নি, তারা সামান্য হলেও সময় পেল। অন্য একটি অংশের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প অনিশ্চয়তার আর এক নাম। তিনি এখনও পর্যন্ত শুল্ক কার্যকরের চারটি তারিখ দিয়েছেন। ফলে ‘নাটক’ শেষ হয়েছে এমনটা হলফ করে বলা যায় না। বরং অনিশ্চয়তা বাড়ল।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আমেরিকায় যে সমস্ত পণ্য ৫ অক্টোবরের মধ্যে বিক্রি হবে, সেগুলির উপরে পাল্টা শুল্ক কার্যকর হবে না। ফলে ইতিমধ্যেই পৌঁছে যাওয়া পণ্যের রফতানিকারীরা কিছুটা স্বস্তিতে। ৩ লক্ষ কোটি ডলারের আমদানির উপরে শুল্ক চাপছে। ফলে সরকারের ঘরেও বড় রাজস্ব আসবে। এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের (এএসপিআই) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা আমেরিকার প্রাক্তন উপ-বাণিজ্য প্রতিনিধি ওয়েন্ডি কাটলারের কথায়, ‘‘আমেরিকার সংস্থাগুলিও নতুন শুল্ক ব্যবস্থার পটভূমিতে ঢুকে পড়ল। অসুবিধা তাদেরও হবে। বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে যে শুল্ক চাপানো হয়েছে, সেখানে অনিশ্চয়তা বিস্তর। প্রশাসন যদি মনে করে দেশগুলি তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না, তখন আবার শুল্ক বেড়ে যেতে পারে। তাতে সংস্থা এবং ক্রেতা উভয় পক্ষেরই সমস্যা।’’
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘‘৭ অগস্ট ‘পূর্ব দিবালোক’ অনুযায়ী ১২টা ১ মিনিট থেকে নতুন শুল্ক চালু হয়ে যাবে। কয়েকটি দেশ চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। কয়েকটি দেশের সঙ্গে কথা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার কথাবার্তা চালালেও বাণিজ্য বৈষম্যের সমাধানে আগ্রহী নয়।’’ হতাশা জানিয়ে অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য সহযোগী কানাডার শুল্ক প্রাথমিক ঘোষণার ২৫% থেকে বাড়িয়ে ৩৫% করে দিয়েছেন ট্রাম্প। ৩৯% শুল্ক দেখে সুইৎজ়ারল্যান্ড হতবাক। আর এক বৃহৎ সহযোগী মেক্সিকোর উপরে ২৫% শুল্ক বসালেও আলোচনার জন্য ৯০ দিন বেঁধেছেন। ১৯% শুল্কে কম্বোডিয়া খুশি। তারা নোবেল শান্তি সম্মানের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)