প্রতীকী ছবি।
শুল্ক যুদ্ধের উত্তাপ বাড়িয়ে ফের চিনকে হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার থেকে ২০,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েছে তাঁর প্রশাসন। জানানো হয়েছে, চিন থেকে আমদানি করা আরও ৩২,৫০০ কোটি ডলারের পণ্যে ২৫% করে কর বসানোর কথাও। আর এ বার ট্রাম্পের দাবি, এটাই বাণিজ্য চুক্তি করার ভাল সময়। ২০২০ পর্যন্ত অপেক্ষা করলে চিনের পক্ষে তার ফল খারাপ হবে। প্রসঙ্গত, আগামী বছরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্পের দাবি, সাম্প্রতিক আলোচনা চিনের পক্ষে ভাল যায়নি। ফলে বেজিং পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট দলের কেউ প্রেসিডেন্ট হলে, চিন এখনকার মতোই ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করছে বেজিং। প্রেসিডেন্টের হুমকি, তাঁর আমলে মার্কিন অর্থনীতির হাল ভাল। ফলে ট্রাম্প জানেন যে, ভোটে তিনিই জিতবেন। তাই পরের ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করলে তাঁর দ্বিতীয় দফায় চিনের পক্ষে ফল ভাল হবে না। বেজিংয়ের উচিত এখনই চুক্তিতে রাজি হওয়া। একই সঙ্গে মার্কিন সংস্থাগুলিকে সে দেশে উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প। দাবি, শুল্ক থেকে বাঁচার এটাই উপায়।
ট্রাম্প এই হুমকি দিলেও, চিন অবশ্য এখনই পাল্টা দেওয়ার পথে হাঁটেনি। বরং আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনার দরজা খোলা বলেই জানিয়েছে তারা। বাণিজ্য যুদ্ধে কোনও পক্ষই যে জেতে না, ফের মনে করিয়ে দিয়েছে তা-ও। তবে যদি একান্ত শুল্ক যুদ্ধে যেতে হয়, তা হলে চিনও পিছপা হবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছে বেজিং।
এ দিকে, বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যেই পরের মাসে জাপানে জি-২০ বৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে ফের দেখা করতে পারেন ট্রাম্প। সে ক্ষেত্রে বাণিজ্য-সহ নানা বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হতে পারেন। এর আগে নভেম্বরে আর্জেন্টিনায় বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা। তার পরেই শুল্ক যুদ্ধে সাময়িক রাশ টেনেছিল দুই দেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy