ছবি রয়টার্স।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের আগে তাঁর প্রশাসনের কর্তারা দু’দেশের বাণিজ্য চুক্তিতে বাধা হিসেবে নয়াদিল্লির দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। আজ খোদ ট্রাম্প হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘ভেরি টাফ নেগোশিয়েটর’ (দর কষাকষিতে কড়া) আখ্যা দিলেন।
ট্রাম্প সফরে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে না। আজ আমদাবাদে মোতেরা স্টেডিয়ামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই জানান, আলোচনা প্রাথমিক স্তরে। যদিও বড় মাপের একটা চুক্তি হবে বলেই দাবি তাঁর।
বাণিজ্য চুক্তি না-হওয়ায় আমেরিকা মোদী সরকারের আমদানিতে চড়া শুল্ক বসিয়ে রক্ষণশীল নীতির সমালোচনা করেছিল। আজ এ নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন একদা নরেন্দ্র মোদীর গুণগ্রাহী বলে পরিচিত অর্থনীতিবিদ জগদীশ ভগবতী। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ভগবতী ও জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ প্রবীণ কৃষ্ণ এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘‘খোলা বাণিজ্যের মাপকাঠিতে ভারতের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ভারত ১৯৯০ সালের শুরুতে আর্থিক সংস্কারের সময় থেকে যে খোলা বাণিজ্যের নীতি নিয়েছিল, তা উল্টে রক্ষণশীল নীতির দিকে চলেছে।’’ ভগবতীদের মতে, ট্রাম্প এই নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাপ দিলে, তাকে স্বাগত জানানো উচিত। কারণ, এই চাপকে দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে কাজে লাগানো যায়।
আমেরিকার দাবি, তাদের দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য ভারতের বাজার খুলুক। কমুক মার্কিন পণ্যে শুল্ক। আজ ট্রাম্প বলেন, ‘‘মোদীর সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক বাড়ানো নিয়ে কথা হবে। খুব বড়, যা কখনও হয়নি, এমন চুক্তি করব। আমেরিকা-ভারতের মধ্যে লগ্নির বাধা দূর করতে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথার প্রাথমিক স্তরে আছি। আমি আশাবাদী দারুণ চুক্তি হবে। তবে উনি কড়া দর কষাকষি করেন।’’ ট্রাম্পের মন্তব্য, ভারত মার্কিন পণ্য রফতানির গুরুত্বপূর্ণ বাজার। আর আমেরিকা বৃহত্তম বাজার ভারতের পণ্য রফতানির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy