ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।
এক মাস আগেও, অক্টোবরে বিশ্ব বাজারে ৮৫ ডলারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল প্রতি ব্যারেল অশোধিত তেলের দাম। সেখান থেকে মাত্র এই ক’দিনে তা নেমে এসেছে ৬০ ডলারেরও নীচে। সৌজন্যে সৌদি আরবের বিপুল তেল তোলা। ওয়েস্ট পাম বিচে সপরিবার ছুটি কাটিয়ে হোয়াইট হাউসে ফেরার পথে সেই কৃতিত্ব পুরোপুরি নিজেই নিজেকে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইট, ‘‘থ্যাঙ্ক ইউ প্রেসিডেন্ট ‘টি’’। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট টি (T)-কে ধন্যবাদ!
ইরানের উপরে ট্রাম্পের প্রশাসন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পরে আশঙ্কা ছিল, অশোধিত তেলের দর হুড়মুড়িয়ে বেড়ে যাওয়ার। কারণ, মাস খানেক আগে তার দাম এমনিতেই বাড়ছিল। তার উপরে ইরানি তেলের জোগান বন্ধ হলে সম্ভাবনা ছিল তা ঊর্ধ্বগামী হওয়ার। এই পরিস্থিতিতে সৌদি আরব যাতে তেলের উৎপাদন না কমায়, তার জন্য ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, নভেম্বরে দৈনিক গড় উত্তোলন রেকর্ড ১.১১-১.১৩ কোটি ব্যারেলে নিয়ে গিয়েছে সৌদি আরব। অনেকে মনে করছেন, এই কৃতিত্বই পুরো নিজের দিকে টানতে চেয়েছেন ট্রাম্প।
অনেকের আবার প্রশ্ন, ট্রাম্পের এই সাফল্য দাবি করার আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হবে তো? কারণ, ইরানের উপরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তেমন জোরালো ভাবে চাপানো হয়নি বলে ক্ষুব্ধ রিয়াধ। আর সামনেই তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক-এর সম্মেলন। অশোধিত তেলের দরে নাগাড়ে দ্রুত পতন রুখতে সেখানে না কি তার উত্তোলন কিছুটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে সৌদি আরব-সহ সদস্য দেশগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy