প্রতীকী ছবি।
সাধারণ বিমা প্রকল্পের মূল কাঠামো তৈরি এবং প্রিমিয়ামের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে কী কী নীতি অনুসরণ করতে হবে, সে ব্যাপারে নতুন নির্দেশিকার খসড়া প্রকাশ করল বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ। আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে এ ব্যাপারে মতামত জানাতে হবে। বিমা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পলিসিহোল্ডারদের সুবিধাগুলি আরও সুরক্ষিত করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, রাষ্ট্রায়ত্ত-সহ বেশ কয়েকটি সাধারণ বিমা সংস্থা সম্প্রতি প্রিমিয়ামের হার অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য বিমাও। সে কারণে প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন বহু পলিসিহোল্ডার। এ ব্যাপারে বেশ কিছু অভিযোগও জমা পড়েছে নিয়ন্ত্রকের কাছে। এর পরেই স্বাস্থ্য বিমা-সহ সাধারণ বিমা পলিসির শর্ত এবং প্রিমিয়ামের হার ঠিক করা নিয়ে আইআরডিএ দফায় দফায় নির্দেশিকা জারি করে। এ বার সার্বিক ভাবে এক গুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করতে উদ্যোগী হয়েছে তারা।
সূত্রের খবর, সাধারণ গ্রাহকদের প্রকল্প (রিটেল) এবং বাণিজ্যিক প্রকল্পকে (কমার্শিয়াল) আলাদা ভাবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে খসড়া নির্দেশিকায়। প্রয়োজনে প্রকল্পের নামের আগে বা পরে ‘রিটেল’ অথবা ‘কর্মাশিয়াল’ কথাগুলি লিখতে হবে। সাধারণ বিমা বিশেষজ্ঞ এবং এক রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থার স্বাস্থ্য বিমা বিভাগের প্রাক্তন কর্তা এন বাঞ্চুর বলেন, ‘‘২০১৬ সালে আইআরডিএ সাধারণ বিমার প্রকল্প তৈরি এবং তার প্রিমিয়াম নির্ধারণের ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছিল। তাতেই সংশোধন করে এবং নতুন কিছু শর্ত রেখে চালু করতে চাইছে নিয়ন্ত্রক। মূল উদ্দেশ্য, প্রকল্পগুলিকে আরও সরল করা। যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই তার শর্তগুলি বুঝতে পারেন।’’
রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থা ন্যাশনাল ইনশিয়োরেন্সের এক কর্তা বলেন, ‘‘রিটেল প্রকল্পকে কমার্শিয়ালের থেকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা হলে সাধারণ গ্রাহকের প্রিমিয়ামের হার কিছুটা কমতে পারে। একই ধরনের প্রকল্পে বিভিন্ন সংস্থা যাতে একই শর্ত রাখে তার ব্যবস্থা করাও আইআরডিএ-র উদ্দেশ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy